চলতি চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে ভারতের ভালো করতে হলে পেসার মোহাম্মদ শামির বোলিং খুবই গুরুত্বপূর্ণ। দলটির মূল বোলার জাসপ্রিত বুমরাহর অনুপস্থিতিতে বোলিং আক্রমণের নেতৃত্ব শামির কাঁধেই। সেই দায়িত্ব অবশ্য প্রথম ম্যাচে ভালোই সামলেছেন। বাংলাদেশের বিপক্ষে ৫ উইকেট নিয়ে দলের জয়ে রেখেছেন বড় ভূমিকা। পাকিস্তানের বিপক্ষে আগামীকালের ম্যাচেও তার বোলিং বড় ভূমিকা রাখবে। এই যে দলে শামির এত গুরুত্ব; পথটা কিন্তু সহজ ছিল না তার জন্য।
২০২৩ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপে মাত্র ৭ ম্যাচেই নিয়েছিলেন ২৪ উইকেট। তারপর প্রায় দেড় বছর ইনজুরির কারণে মাঠের বাইরে থাকতে হয়েছে তাকে। এই সময়ে ভারতের জাতীয় ক্রিকেট একাডেমিতে (এনসিএ) পুনর্বাসন প্রক্রিয়ায় থাকেন তিনি। ঘরোয়া ক্রিকেট দিয়ে এরপর ক্রিকেটে ফেরেন। তারপর ইংল্যান্ডের বিপক্ষে দ্বিপক্ষীয় সিরিজ খেলে জায়গা করে নেন চ্যাম্পিয়নস ট্রফির স্কোয়াডে।
দীর্ঘ সময় ফিটনেসের বিপক্ষে এই লড়াইয়ের ব্যাপারে শামির কাছে বাংলাদেশের বিপক্ষে ম্যাচের পর জানতে চেয়েছিলেন ভারতের সাবেক ক্রিকেটার নভজ্যোত সিং সিধু। সেখানে উঠে আসে চমকপ্রদ কিছু তথ্য। যার মধ্যে আছে ১০ বছর ধরে এক বেলা খাওয়ার প্রসঙ্গও।
সিধু: তুমি কীভাবে পাঁচ-ছয় কেজি ওজন কমিয়ে ফেললে?
শামি: আমি নয় কেজি কমিয়েছি।
সিধু: সবচেয়ে কঠিন ব্যাপার হচ্ছে নিজের সঙ্গে লড়াই। যখন আপনি এমন পরিস্থিতিতে (ইনজুরি থেকে ফেরার লড়াই) থাকবেন…আমি এনসিএ’তে ছিলাম এবং আমার ওজন ছিল প্রায় ৯০ কেজি। সবচেয়ে ভালো ব্যাপার হচ্ছে আমি মজাদার খাবারের জন্য হাপিত্যেশ করতাম না, আমি মিষ্টি খেতাম না। যেসব জিনিস থেকে দূরে থাকা উচিত, আমি অনেক এমন জিনিস থেকে দূরে থাকতাম। তবে বিরিয়ানির ব্যাপারে…মাঝে মাঝে তো ‘চিট মিল’ (স্বাস্থ্যসম্মত খাবার না খাওয়া) চালানোই যায়। আমার বেলায়ও সেই ব্যাপারটা কিছুটা ঘটেছে। ২০১৫ সাল থেকে আমি এক বেলা খাই। আমি শুধু রাতের খাবার খাই, সকালের খাবারও না, দুপুরেরও না। এটা খুব কঠিন কিন্তু যখন আপনি একবার অভ্যস্ত হয়ে যাবেন, তখন ব্যাপারটা সহজ।’
বাংলাদেশের বিপক্ষে ৫৩ রানের বিনিময়ে ৫ উইকেট শিকার করে ওয়ানডেতে ২০০ উইকেট পূর্ণ করেন শামি। মাত্র ১০৪টি ম্যাচ খেলেই ২০০ উইকেট শিকার করলেন তিনি। ভারতীয়দের মধ্যে এর চেয়ে দ্রুতগতিতে এই মাইলফলক স্পর্শ করতে পারেননি কেউ। দুইয়ে থাকা অজিত আগারকার শামির অনেক পেছনে। দুই শ উইকেটের মাইলফলকে পৌঁছাতে আগারকারের লেগেছিল ১৩৩ ম্যাচ।
ওই ম্যচে শামি এদিন আরও রেকর্ড গড়েছেন। আইসিসির ৫০ ওভারের দুইটি টুর্নামেন্ট— ওয়ানডে বিশ্বকাপ এবং চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে ভারতের হয়ে এখন সবচেয়ে বেশি উইকেট শামির। তার ঝুলিতে আছে ৬০টি উইকেট। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৫৯টি উইকেট জহির খানের। এছাড়া জাভাগল শ্রীনাথ তৃতীয় সর্বোচ্চ ৪৭ ও রবীন্দ্র জাদেজা চতুর্থ সর্বোচ্চ ৪৩টি উইকেট শিকার করেছেন।