রেগে গিয়ে টিভি অনুষ্ঠান থেকে বের হয়ে যাওয়ায় এবং পরবর্তীতে অনুষ্ঠানে যোগ না দেওয়ায় শোয়েব আখতারের কাছে ১০০ মিলিয়ন পাকিস্তানি রুপি ক্ষতিপূরণ চেয়েছে পিটিভি।
এ বিষয়ে আইনি নোটিশও পাঠিয়েছে পাকিস্তানের এই সরকারি টিভি চ্যানেল। তাদের অভিযোগ, চ্যানেলের খেলা বিভাগকে অবহিত না করে দুবাই ঘুরে এসেছেন শোয়েব। সেখানে অন্য একটি চ্যানেলের জন্য ভারতের ক্রিকেটারদের সঙ্গে একটি অনুষ্ঠানও করেছেন। এতে রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন চ্যানেল পিটিভির মান ক্ষুণ্ণ হয়েছে।
এদিকে পিটিভির পক্ষ থেকে এমন আইনি নোটিশ পেয়ে হতাশ ও বিব্রত শোয়েব আখতার। পিটিভির বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাবেন বলে ঘোষণা দিয়েছেন ‘রাওয়ালপিণ্ডি এক্সপ্রেস’।
এক টুইটে শোয়েব বলেছেন, ‘আমি অত্যন্ত হতাশ। আমার সম্মান ও খ্যাতি রক্ষায় ব্যর্থ হওয়ার পর পিটিভি এখন আমাকে ক্ষতিপূরণ চেয়ে নোটিশ পাঠিয়েছে। আমি একজন লড়াকু এবং এই লড়াই চালিয়ে যাব। আইন অনুযায়ী আমার আইনজীবী কাজ করবেন।’
উল্লেখ্য, বিশ্বকাপে ভারতকে প্রথমবারের মতো হারানোর পর বাবর আজমদের দুরন্ত পারফরম্যান্স ও কোহলিদের ব্যর্থতা নিয়ে ওই সময় পিটিভির এক লাইভ টকশোতে হাজির হন শোয়েব আখতার।
সেখানে পাকিস্তানের বোলার হারিস রউফের উত্থানের কথা বলছিলেন শোয়েব। এ সময় তাকে থামিয়ে পাকিস্তানের আরেক পেসার শাহিন শাহ আফ্রিদির প্রসঙ্গ টেনে আনেন উপস্থাপক নিয়াজ।
আর ব্যাপারটি মোটেই ভালো লাগেনি শোয়েবের। এ নিয়ে বাদানুবাদের একপর্যায়ে উপস্থাপক নোমান নিয়াজ বলে ওঠেন— ‘আপনি (শোয়েব) অতিচালাক এবং অভদ্রের মতো আচরণ করছেন’ বলেই অনুষ্ঠানে বিজ্ঞাপন বিরতি দেন নিয়াজ।
বিরতির পর নিয়াজকে ওই আচরণের জন্য দুঃখ প্রকাশ করতে বলেন শোয়েব। কিন্তু নিয়াজ সেটি না করলে সবার কাছে ক্ষমা চেয়ে অনুষ্ঠান ত্যাগ করেন শোয়েব আখতার।
ঘটনাটি নিয়ে পাকিস্তানের ক্রিকেটমহলে শোরগোল পড়ে যায়। এমনকি এক পর্যায়ে দেশটির প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকেও এই ঘটনায় হস্তক্ষেপ করতে হয়। দোষী কে তা সাব্যস্ত করতে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।
সেই তদন্তে চলমান অবস্থায় উপস্থাপক ড. নোমান নিয়াজের চাকরি চলে যাওয়ার উপক্রম হয়। পরে তদন্ত কর্মকর্তা রউফ ক্লাসরার ইউটিউব চ্যানেলে এসে শোয়েব আখতারের কাছে লক্ষ-কোটিবার ক্ষমা চান নোমান নিয়াজ।
নোমান নিয়াজ বলেন, ‘মানুষ মাত্রই ভুল। আমারও তাই হয়েছে। এমনটি আর হবে না। আমি শোয়েব আখতারের কাছে একবার নয় লক্ষ-কোটিবার ক্ষমা চাইছি। আমি স্বীকার করছি যে, ওই বক্তব্য দিয়ে আমি শোয়েব আখতারসহ পাকিস্তানের অনেক ক্রিকেটভক্তদের হৃদয় ভেঙে দিয়েছি।’
এরপর ঘটনাটি এখানে থেমে গেলেও পারত। কিন্তু শোয়েবকে আইনি নোটিশ পাঠিয়ে ঘটনাটিকে ফের আলোচনায় নিয়ে আসল পিটিভি।
এদিকে পিটিভির পক্ষ থেকে এমন আইনি নোটিশ পেয়ে হতাশ ও বিব্রত শোয়েব আখতার। পিটিভির বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাবেন বলে ঘোষণা দিয়েছেন ‘রাওয়ালপিণ্ডি এক্সপ্রেস’।
এক টুইটে শোয়েব বলেছেন, ‘আমি অত্যন্ত হতাশ। আমার সম্মান ও খ্যাতি রক্ষায় ব্যর্থ হওয়ার পর পিটিভি এখন আমাকে ক্ষতিপূরণ চেয়ে নোটিশ পাঠিয়েছে। আমি একজন লড়াকু এবং এই লড়াই চালিয়ে যাব। আইন অনুযায়ী আমার আইনজীবী কাজ করবেন।’
উল্লেখ্য, বিশ্বকাপে ভারতকে প্রথমবারের মতো হারানোর পর বাবর আজমদের দুরন্ত পারফরম্যান্স ও কোহলিদের ব্যর্থতা নিয়ে ওই সময় পিটিভির এক লাইভ টকশোতে হাজির হন শোয়েব আখতার।
সেখানে পাকিস্তানের বোলার হারিস রউফের উত্থানের কথা বলছিলেন শোয়েব। এ সময় তাকে থামিয়ে পাকিস্তানের আরেক পেসার শাহিন শাহ আফ্রিদির প্রসঙ্গ টেনে আনেন উপস্থাপক নিয়াজ।
আর ব্যাপারটি মোটেই ভালো লাগেনি শোয়েবের। এ নিয়ে বাদানুবাদের একপর্যায়ে উপস্থাপক নোমান নিয়াজ বলে ওঠেন— ‘আপনি (শোয়েব) অতিচালাক এবং অভদ্রের মতো আচরণ করছেন’ বলেই অনুষ্ঠানে বিজ্ঞাপন বিরতি দেন নিয়াজ।
বিরতির পর নিয়াজকে ওই আচরণের জন্য দুঃখ প্রকাশ করতে বলেন শোয়েব। কিন্তু নিয়াজ সেটি না করলে সবার কাছে ক্ষমা চেয়ে অনুষ্ঠান ত্যাগ করেন শোয়েব আখতার।
ঘটনাটি নিয়ে পাকিস্তানের ক্রিকেটমহলে শোরগোল পড়ে যায়। এমনকি এক পর্যায়ে দেশটির প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকেও এই ঘটনায় হস্তক্ষেপ করতে হয়। দোষী কে তা সাব্যস্ত করতে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।
সেই তদন্তে চলমান অবস্থায় উপস্থাপক ড. নোমান নিয়াজের চাকরি চলে যাওয়ার উপক্রম হয়। পরে তদন্ত কর্মকর্তা রউফ ক্লাসরার ইউটিউব চ্যানেলে এসে শোয়েব আখতারের কাছে লক্ষ-কোটিবার ক্ষমা চান নোমান নিয়াজ।
নোমান নিয়াজ বলেন, ‘মানুষ মাত্রই ভুল। আমারও তাই হয়েছে। এমনটি আর হবে না। আমি শোয়েব আখতারের কাছে একবার নয় লক্ষ-কোটিবার ক্ষমা চাইছি। আমি স্বীকার করছি যে, ওই বক্তব্য দিয়ে আমি শোয়েব আখতারসহ পাকিস্তানের অনেক ক্রিকেটভক্তদের হৃদয় ভেঙে দিয়েছি।’
এরপর ঘটনাটি এখানে থেমে গেলেও পারত। কিন্তু শোয়েবকে আইনি নোটিশ পাঠিয়ে ঘটনাটিকে ফের আলোচনায় নিয়ে আসল পিটিভি।