নাসিম রুমি: সাকিব আল হাসান ক্যারিয়ারের শেষ টেস্টটা দেশের মাটিতে খেলতে চান, কানপুর টেস্টের পরই সে ইচ্ছের কথা জানিয়েছেন তিনি। কিন্তু সেটা সম্ভব হবে কিনা, তা নির্ভর করছে অনেক যদি-কিন্তুর পর।
যেহেতু পতন হওয়া আওয়ামী লীগ সরকারের সংসদ সদস্য ছিলেন সাকিব, রাজনৈতিক পরিচয়ের কারণে তিনি দেশে ফিরলে বিপদে পড়তে পারেন। এরই মধ্যে তার নামে হত্যা মামলা হয়েছে, শেয়ার কেলেঙ্কারির মামলায় হয়েছে জরিমানা।
সাকিব দেশে ফিরলে জনগণের তোপের মুখে পড়তে পারেন, হতে পারে গ্রেফতারও। বাংলাদেশের সাবেক অধিনায়ক তাই ক্রিকেট বোর্ডের কাছে নিশ্চয়তা চেয়েছেন, তাকে যেন নিরাপত্তা দেয়া হয়। সেইসঙ্গে খেলা শেষ করে যেন নির্বিঘ্নে দেশ ছাড়তে পারেন।
তবে সাকিবের এমন চাওয়ায় ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি বোর্ড কিংবা অন্তবর্তী সরকারের ক্রীড়া উপদেষ্টার কাছ থেকে। বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদ সরাসরিই বলেছেন সাকিবের নিরাপত্তা বোর্ডের এখতিয়ার নয়, এটা সরকারের ব্যাপার।
এরপর যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়া জানান, খেলোয়াড় সাকিবের নিরাপত্তা দেয়া হবে। তবে রাজনীতিবিদ সাকিবকে তার অবস্থান পরিষ্কার করতে হবে।
সবমিলিয়ে সাকিবের দেশে ফিরে খেলার সম্ভাবনা অনেকটাই ধোঁয়াশায়। এর মধ্যে সংযুক্ত আরব আমিরাতের শারজায় নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ দেখতে গিয়ে বৃহস্পতিবার ক্রীড়া উপদেষ্টা সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘তিনি (সাকিব) এমন একজন খেলোয়াড়, যার দেশের জন্য অনেক অবদান রয়েছে। তিনি যেহেতু বাংলাদেশে নিজের শেষ টেস্ট খেলতে চান, আমি ব্যক্তিগতভাবে চাই সেই সুযোগ তিনি পান।’
সঙ্গে যোগ করেন, ‘আমাদের একজন খেলোয়াড়কে অবশ্যই আমরা সর্বোচ্চ নিরাপত্তা দেব। কারও বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ থাকলে, সেটা ভিন্ন বিষয়। সেই বিষয়ে আমি কিছু বলতে পারি না, কারণ সেটা আইন মন্ত্রণালয়ের বিষয়। আমরা সাকিব আল হাসানের নিরাপত্তার কথা এরইমধ্যে বলেছি, সেটা আমরা নিশ্চিত করব।’