নাসিম রুমি: বিসিবির সঙ্গে দরকষাকষি করেও সফল হতে পারেননি সাকিব আল হাসান। দেশে খেলার স্বাধীনতা, ব্যাংক অ্যাকাউন্ট উন্মুক্ত করে দেওয়া এবং দেশে ফেরা ও বিদেশে যাওয়ার নিশ্চয়তা চান তিনি। এই তিনটি বিষয়ে অনুমোদন পেতে সরকারকে রাজি করাতে বিসিবিকে অনুরোধ করেছিলেন। কিন্তু বিসিবি কোনো সমাধান দিতে না পারায় ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষেও ওয়ানডে সিরিজ খেলা হচ্ছে না বাঁহাতি অলরাউন্ডারের। তাঁকে ছাড়াই স্কোয়াড অনুমোদন করেছেন বিসিবি সভাপতি। এতে পরিষ্কার হয়ে গেছে সাকিবের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার শেষ।
আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য হওয়ায় সাকিবের দেশে ফেরা নিয়ে জটিলতা তৈরি হয়েছে। শেখ হাসিনার সঙ্গে তিনিও একটি হত্যা মামলার হুকুমের আসামি। শেয়ারবাজার কারসাজিতে জড়িত থাকার অভিযোগে ৫০ লাখ টাকা জরিমানাও করা হয়েছে তাঁকে। বিদেশে টাকা পাচার রোধে সম্প্রতি সাকিব ও তাঁর স্ত্রী উন্মে আহমেদ শিশিরের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। ফলে বিদেশে থাকাকালে প্রয়োজনীয় ব্যয় নির্বাহ করতেও সমস্যা হচ্ছে বলে জানান সাকিব।
বিসিবির একজন কর্মকর্তা জানান, সভাপতিকে অনুরোধ করেছিলেন, অন্তত ব্যাংক লেনদেন স্বাভাবিক করার পাশাপাশি দেশে খেলার সুযোগ করে দিতে। কিন্তু বিষয়টি যে বিসিবির হাতে নেই এবং চাইলেও সমাধান করা সম্ভব নয় সাকিব তা বুঝতে পারছেন না। এ নিয়ে দেশের খ্যাতিমান আইনজীবী মনজিল মোরসেদ বলেন, ‘সাকিবের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা হয়েছে। ক্রিমিনাল মামলা হওয়ায় কিছু করার নেই। বিসিবি কেবল সরকারকে পারসু করতে পারে মামলার তদন্ত দ্রুত করে সম্পৃক্ততা থাকা না থাকার বিষয়টি নিশ্চিত করতে। সম্পৃক্ততা না থাকলে সমস্যা শেষ। একইভাবে ব্যাংক লেনদেন স্বাভাবিক করতে বাংলাদেশ ব্যাংকে অনুরোধ করতে পারে বিসিবি।