নাসিম রুমি: সিলেট টেস্টে ভেলকি দেখিয়েছিলেন বল হাতে। চট্টগ্রামে বল হাতে বিশেষ কিছু করা হয়নি বটে। তবে ব্যাটিংয়ে মিরাজ ঠিকই নিজের কার্যকারিতা বুঝিয়ে দিয়েছেন। জাতীয় দলের নির্ভরযোগ্য এই তারকা ব্যাটে-বলে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজটা পার করছেন দারুণ।
চট্টগ্রামে বাংলাদেশ দলের মিডল অর্ডারে অবিশ্বাস্য ধসের পর হাল ধরেন মিরাজ। টেলএন্ডার তাইজুল ইসলামের সঙ্গে ৬৩ রানের পর তানজিম সাকিবের সঙ্গে ৯৫ রানের দারুণ জুটি গড়ে তুলে নিয়েছেন অসাধারণ এক সেঞ্চুরি। টেস্ট ক্যারিয়ারে এটি তার দ্বিতীয় সেঞ্চুরি। প্রথম সেঞ্চুরিটাও পেয়েছিলেন চট্টগ্রামের এই মাঠেই।
দ্বিতীয় সেঞ্চুরির দিনে মাইলফলকের খাতাতেও উঠেছে মিরাজের নাম। সাকিব আল হাসানের পর মাত্র দ্বিতীয় বাংলাদেশী হিসেবে মিরাজ টেস্ট ক্রিকেটে ২০০০ রান এবং ২০০ উইকেটের চক্র পূরণ করেছেন। অবশ্য ম্যাচের সংখ্যা হিসেবে মিরাজ টপকেছেন সাকিবকে। জায়গা করে নিয়েছেন ক্রিকেট কিংবদন্তিদের কাতারে।
নিজের ৫৩তম টেস্টে এসে ২০০০ রান ও ২০০ উইকেটের ডাবল পূরণ করেছেন বাংলাদেশের এই অলরাউন্ডার। পুরো বিশ্বের মধ্যে যা ৫ম দ্রুততম। তার চেয়ে কম সময়ে এই ডাবল পূরণ করেছেন ইংল্যান্ডের ইয়ান বোথাম, ইমরান খান, কপিল দেব এবং রবিচন্দ্রন অশ্বিন। এদের মধ্যে ইয়ান বোথামই কেবল ৫০ টেস্টের আগে এই চক্র (৪২ ম্যাচ) পূরণ করেছেন।
ভারতের আরেক অলরাউন্ডার রবীন্দ্র জাদেজা অবশ্য যৌথভাবে ৫ম স্থান ভাগাভাগি করছেন মিরাজের সঙ্গে। দুজনেই নিজেদের ৫৩তম টেস্টে ২০০০ রান এবং ২০০ উইকেটের ডাবল পূরণ করেছেন। সাকিব আল হাসানের এই ডাবল পূরণে দরকার হয়েছিল ৫৪ টেস্ট।