নাসিম রুমি: ২০১৯ বিশ্বকাপে দারুণ ক্রিকেটে খেলেছে বাংলাদেশ। আশা করা হচ্ছিল ২০২৩ বিশ্বকাপে নিজেদের ইতিহাসে সেরা সাফল্য পাবে বাংলাদেশ। তবে তার আগেই ড্রেসিং রুমে ফাটল। এক সময়ের ঘনিষ্ঠ বন্ধু সাকিব আল হাসান-তামিম ইকবাল একে অন্যের সঙ্গে কথা বলেন না পর্যন্ত। যার প্রভাব পড়েছে বাংলাদেশের পারফরম্যান্সেও। ব্যর্থ একটা বিশ্বকাপ কাটিয়েছে বাংলাদেশ। আর এমনটা মনে করেন খোদ তামিম ইকবাল খান।
তামিমের মতে, সাকিবের সঙ্গে তার সম্পর্ক একইরকম থাকলে তাতে উপকৃত হতো দেশের ক্রিকেট। সাকিবের সঙ্গে নিজের সম্পর্ক নিয়ে সম্প্রতি স্পোর্টস-স্টারকে দেওয়া এক দীর্ঘ সাক্ষাৎকারে এমনটাই জানিয়েছেন তামিম।
সাকিব-তামিমের বন্ধুত্বের সম্পর্কে ফাটল লম্বা সময় গুঞ্জন থাকলেও তা প্রকাশ্যে আসে, ভারত বিশ্বকাপের আগ মুহূর্তে তামিমের নাটকীয় অবসর ঘোষণার পর। এই ঘটনার পর তামিম অবসর ভেঙে ফিরলেও শেষ পর্যন্ত বিশ্বকাপ খেলতে ভারতের বিমান ধরতে পারেননি তিনি। সে সময় যা নিয়ে গণমাধ্যমকে তামিমের ওপরই দায় চাপিয়ে ছিলেন অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। যার প্রভাব পড়েছিল দলের পারফরম্যান্সেও।
তবে সাকিবের সঙ্গে তার সম্পর্কটা ভালো থাকলে যে আরও ভালো করত বাংলাদেশ তা মানেন তামিম। তার মতে, ‘হ্যাঁ, অবশ্যই। নিঃসন্দেহে। আমি বিশ্বাস করি, যদি আমাদের সুসম্পর্কটা দীর্ঘস্থায়ী হতো, তাহলে সেটা বাংলাদেশ ক্রিকেটের জন্য গেম-চেঞ্জার হিসেবে কাজ করত। আমরা দেশের জন্য অনেক দারুণ কিছু করেছি। দুজনেরই ইতিবাচক মানসিকতা ছিল। বাংলাদেশ ক্রিকেটের জন্য সেরাটাই করতে চেয়েছি।’
নিজেদের সম্পর্ক নিয়ে সাবেক এ অধিনায়ক বলেন, ‘সম্পর্ক ওঠানামার মধ্য দিয়ে যায়। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কথা হচ্ছে আপনাকে নিশ্চিত করতে হবে যে কেউ কাউকে আঘাত করবেন না। শেষ পর্যন্ত আপনারা তো দেশের জন্যই খেলছেন। আমি কোনো গণমাধ্যমে বা সরাসরি তাকে (সাকিব) কিছু বলিনি। কারও সম্পর্কেই বলিনি। যাহোক, অবশ্যই বিশ্বাস করি, সাকিব বাংলাদেশের জন্য যা করেছে, অসাধারণ। সম্পর্ক যেমনই থাকুক, ওটা অস্বীকার করা যাবে না। সে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় তারকা।’
গত বিশ্বকাপের আগে আসলে কী ঘটেছিল, সে সম্পর্কে তামিম বলেন, ‘খুব কম মানুষই জানে আসলে কী ঘটেছিল। তারাও কিছু বলেনি, আমিও না। তবে আমি ওটা কিছুতেই ভুলতে পারি না।’