জেমস ম্যাকদোগাল (৩৭)। এক্স-সিনড্রোমে আক্রান্ত। এর ফলে তার উত্তরাধিকাররা কম আইকিউ সম্পন্ন হয়ে জন্মাতে পারে। তাদের শারীরিক ও মানসিক উন্নতিতে বিলম্ব ঘটে। এই সমস্যা প্রতিকারযোগ্য নয়। এ কথা জানার পরও সমকামী নারীদের সন্তান ধারণে শুক্রাণু দান করেছেন তিনি। এ উপায়ে ১৫টি সন্তানের পিতা হয়েছেন তিনি। সম্প্রতি ওই সন্তানদের সাহচর্য পাওয়ার চেষ্টা করেন তিনি। এ নিয়ে ইংল্যান্ডের ডার্বিতে ফ্যামিলি কোর্টে মামলা উঠেছে। সেখান থেকেই এ তথ্য ছড়িয়ে পড়েছে।
সোমবার দিবাগত রাতে পরিচয় প্রকাশ পায় ম্যাকদোগালের। বিচারক লিভেন তাকে নির্দেশ দেন, তিনি যেন আর কোনো নারীকে শুক্রাণু দান না করেন। তাকে লালন পালন করেছেন জুন এবং জন ম্যাকদোগাল। তারা ম্যাকদোগালের পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন। বলেছেন, তাদের ছেলের শুক্রাণু দানের নেশা আছে। ম্যাকদোগালের মা মিস ম্যাকদোগাল (৭৩) বলেছেন, তাদের ছেলে এখন পরিস্থিতির সঙ্গে লড়াই করছে। সে যেসব সন্তানের পিতা হয়েছে, তাদের সঙ্গে দেখা করতে চায় সে।
কিন্তু এক্ষেত্রে তার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে। তার ভাষায়, আমার ছেলে ম্যাকদোগাল তার সন্তানদের জীবন কেমন চলছে তা দেখতে চায়। তাদের জীবনের অংশ হতে চায়। তার হৃদয় অনেক বড়। যেকারো জন্য সে যেকোনো কিছু করতে চায়। যেসব নারী সমকামী সম্পর্কে লিপ্ত তাদের সন্তান হওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই।
তাই তাদের স্বপ্নকে বাস্তবায়নের জন্য আমার ছেলে তাদেরকে শুধু শুক্রাণু দান করেছে। এর বিনিময়ে সে কোনো অর্থ চায়নি। মিস জুন ম্যাকদোগাল ও জন ম্যাকদোগাল দু’জনেই সিটি কাউন্সিলের অবসরপ্রাপ্ত ইঞ্জিনিয়ার। তারা তাদের ছেলেকে সর্বান্তকরণে সমর্থন করছেন। তার বিরুদ্ধে সমকামী ওইসব নারীর অভিযোগকে তারা নিষ্ঠুরতা বলে অভিহিত করেছেন।