English

26 C
Dhaka
শনিবার, নভেম্বর ১৬, ২০২৪
- Advertisement -

শেষ মুহূর্তে রিশাদ-ঝড়, সিরিজ বাংলাদেশের

- Advertisements -

লক্ষ্য খুব বড় ছিল না, ২৩৬ রানের। কনকাশন বদলি হিসেবে নেমে তানজিদ হাসান তামিম খেলে দিলেন ৮১ বলে ৮৪ রানের মারকুটে ইনিংস। তারপরও সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচে হারের শঙ্কায় পড়ে গিয়েছিল বাংলাদেশ।

১৩০ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে রীতিমত ধুঁকছিল টাইগাররা। সেখান থেকে মুশফিকুর রহিম আর মেহেদী হাসান মিরাজের জুটি। কিন্তু মিরাজ আউট হওয়ার পর আবারও শঙ্কা। সেই শঙ্কা কেটে গেলো রিশাদ হোসেনের শেষ সময়ের টর্নেডো এক ইনিংসে।

১৮ বলে ৪৮ রানের হার না মানা ইনিংস খেলে দলকে জয়ের পথ গড়ে দিয়েছেন লোয়ার অর্ডারের রিশাদ। শ্রীলঙ্কাকে ৪ উইকেট আর ৫৮ বল হাতে রেখে হারিয়ে তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজ ২-১ ব্যবধানে জিতে নিয়েছে বাংলাদেশ।

১৩০ রানে ৫ উইকেট হারানোর পর মুশফিক-মিরাজ ষষ্ঠ উইকেটে গড়েন ৬২ বলে ৪৮ রানের জুটি। ৪০ বলে ২৫ করে আউট হন মিরাজ। মুশফিকের সঙ্গে তখন বলতে গেলে স্বীকৃত ব্যাটার আর কেউ নেই। শঙ্কা তাই তৈরি হয়েছিল।

কিন্তু রিশাদ আরও একবার ব্যাট হাতে চমক দেখান। মাঠে নেমেই চার-ছক্কার ফুলঝুরি ছোটাতে থাকেন ডানহাতি এই ব্যাটার। শেষ পর্যন্ত ১৮ বলে ৪৮ রানের ইনিংসে ৫টি চারের সঙ্গে ৪টি ছক্কা হাঁকান এই লেগস্পিনার। ৩৬ বলে ৩৭ রানে অপরাজিত থাকেন মুশফিক।

২৩৬ রানের লক্ষ্য বেশ সহজই। রয়ে সয়ে খেলতে পারলে অনায়াসেই জয় তুলে নেয়া সম্ভব। সৌম্য সরকারের কনকাশন সাব হিসেবে মাঠে নামা তানজিদ হাসান তামিমের ব্যাটে জয়ের স্বপ্নটাও বাংলাদেশের বেশ চওড়া হচ্ছিলো। কিন্তু অহেতুক ছক্কা মারতে গিয়ে সেঞ্চুরি মিস করেন তানজিদ তামিম। বাউন্ডারি লাইনে ক্যাচ দেওয়ার আগে ৮১ বলে ৯ চার আর ৪ ছক্কায় ৮৪ রান করেন এই ওপেনার।

এর আগে ওপেনিংয়ে এনামুল হক বিজয় এবং তানজিদ তামিম মিলে জুটিটা ভালোই গড়ে তুলেছিলো। দু’জনের ৫০ রানের জুটি ভেঙে দেন লাহিরু কুমারা। তার বল অফসাইডে খেলতে গিয়ে ক্যাচ তুলে দেন বিজয়। অনেক উঁচুতে লাফিয়ে উঠে ক্যাচটি ধরেন আভিস্কা ফার্নান্দো। ২২ বলে ১২ রান করেন বিজয়।

অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত আজও হতাশ করলেন। প্রথম ম্যাচে সেঞ্চুরি করে দলকে জেতানোর পর টানা দুই ম্যাচ ব্যর্থ হলেন। আজ মাত্র ১ রান করে আউট হয়ে গেলেন তিনি।

মিডল অর্ডারে নির্ভরতার প্রতীক তাওহিদ হৃদয় জুটি বাধেন তানজিদ তামিমের সঙ্গে। ৪৯ রানের জুটি গড়েন তারা দু’জন। ২২তম ওভারের ৪র্থ বলে লাহিরু কুমারার বাউন্স হয়ে আসা বলে খেলতে গিয়ে ডিপ ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টে ক্যাচ তুলে দেন হৃদয়। ৩৬ বলে ২২ রান করে আউট হন তিনি।

মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের ওপর আস্থা ছিল সবার। কিন্তু লাহিরু কুমারার দুর্দান্ত একটি বলকে ডিফেন্স করতে গিয়ে ব্যাটের কানায় লাগিয়ে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেন তিনি। ৪ বলে মাত্র ১ রান করে বিদায় নেন বাংলাদেশ ব্যাটিংয়ের এই স্তম্ভ।

শ্রীলঙ্কার ডানহাতি পেসার লাহিরু কুমারা ৪৮ রান খরচায় নেন ৪টি উইকেট। দুটি উইকেট শিকার ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গার।

এর আগে চট্টগ্রাম জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে ৫০ ওভারে ২৩৫ রানে অলআউট হয় শ্রীলঙ্কা। জেনিথ লিয়ানাগে একাই খেলেন। দুর্দান্ত সেঞ্চুরি করে অপরাজিত থাকেন এই মিডল অর্ডার। ১০১ রান করেন তিনি। এছাড়া ৩৭ রান করেন চারিথ আশালঙ্কা, ২৯ রান করেন কুশল মেন্ডিস।

Notify of
guest
0 মন্তব্য
সবচেয়ে পুরাতন
সবচেয়ে নতুন Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments
Advertisements
সর্বশেষ
- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন