করোনায় আক্রান্ত হওয়ায় এজবাস্টন টেস্টে খেলতে পারেননি রোহিত শর্মা। অধিনায়ক হিসেবে বিদেশে সেটাই প্রথম ম্য়াচ হতে পারতো তার। সিরিজ জেতার সুযোগ ছিল। কিন্তু আইসোলেশনে থেকে দলের হার দেখতে হয়েছে। সুস্থ হয়ে মাত্র তিনদিনের অনুশীলন সেরেই ম্যাচে নামলেন রোহিত শর্মা।
ইংল্য়ান্ডের বিরুদ্ধে সাদা বলের সিরিজ জয় দিয়ে শুরু করল ভারত। এজিএস বোলে ৫০ রানের বড় ব্যবধানে জয়। অধিনায়ক হিসেবে রেকর্ড গড়লেন রোহিত। প্রথম অধিনায়ক হিসেবে আন্তর্জাতিক টি-২০ তে টানা ১৩ টি ম্য়াচ জয়। সিরিজে ১-০ এগিয়ে যাওয়ার আনন্দ, ব্য়াটিং-বোলিংয়ে দারুণ পারফরম্যান্স, তারপরও হতাশ রোহিত। সেই হতাশের কারণ তার দলের ফিল্ডিং।
চলতি বছরই অস্ট্রেলিয়ায় হবে টি-২০ বিশ্বকাপ। এখন থেকেই দল গুছিয়ে নেওয়া জরুরি। সঙ্গে সব বিভাগে উন্নতি চাই। কিন্তু ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে প্রথম টি-২০ তে সব মিলিয়ে প্রায় আধডজন ক্যাচ ফসকালেন সতীর্থরা। উইকেটরক্ষক দীনেশ কার্তিক দুইটি, সূর্যকুমার যাদব, যুজবেন্দ্র চাহাল এবং দীপক হুডা ক্য়াচ মিস করলেন। এক ম্য়াচে এতগুলো মিস। এদিন প্রতিপক্ষ সেই সুযোগ কাজে লাগাতে না পারলেও সবসময় এমনটা হবে তা নয়। ম্য়াচ শেষে হতাশ রোহিত বললেন, আমরা খুব বাজে ফিল্ডিং করেছি। ক্যাচ গুলি নেওয়া যেতে পারত। বরং আমি বলব ক্যাচ গুলি নেওয়া উচিত ছিল। এই বিভাগে আমরা সেরা হতে চাই। আজকের পারফরম্যান্সে একদমই গর্বিত নই।
তবে ব্যাটিং-বোলিং নিয়ে অবশ্য সন্তুষ্ট অধিনায়ক। তিনি বলেন, প্রথম বল থেকেই দারুণ পারফরম্যান্স। পিচ খুবই ভাল ছিল। ব্য়াটাররা দারুণ খেলেছে। ব্যাটিংয়ে কোনও সময়ই মনে পয়নি, আমরা তাড়াহুড়ো করেছি। ক্রিকেটীয় শটেই রান তোলার চেষ্টা করেছে সকলেই। দীর্ঘকালীন পরিকল্পনার কথা ভাবলে, প্রাাথমিক বিষয়গুলির উপর জোর দেওয়া জরুরি। আমরা সেটাই করতে পেরেছি। বিশেষত পাওয়ার প্লে’র ৬ ওভার কাজে লাগানো খুবই জরুরি।
ব্যাটিং হোক বা বোলিং। পাওয়ার প্লে খুব ভালোভাবে কাজে লাগিয়েছে ভারত। ব্যাটিংয়ে ২ উইকেট হারালেও ৬৬ রান তুলেছে। তেমনই বোলারদের সৌজন্যে পাওয়ার প্লেতে মাত্র ৩২ রান ৩ উইকেট নিয়েছে ভারত। রোহিত বলেন, পরিকল্পনা কখনও কাজে লাগবে, কখনও নয়। তবে চেষ্টা থাকতে হবে। ম্যাচ শেষে অভিজ্ঞ অলরাউন্ডার হার্দিক পান্ডিয়াকে যেমন প্রশংসায় ভরালেন তেমনই অভিষেককারী অর্শদীপক সিংকেও।