প্রায় চার বছর পর আজ বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) এজিএম অনুষ্ঠিত হলো। বার্ষিক সাধারণ সভা শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন বিসিবি বস নাজমুল হাসান পাপন। তিনি তুলে ধরেন তার দুইবারের মেয়াদে দেশের ক্রিকেটের সাফল্যের কথা। এক পর্যায়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, আঞ্চলিক ক্রিকেট সংস্থা গঠন করতে না পারাটাই তার ব্যর্থতা। তবে তিনি এই কমটি গঠনের আশাবাদও ব্যক্ত করেছেন।
বিসিবি বস বলেন, ‘একটা তো রিজিওনাল ক্রিকেট, আমাদের ব্যর্থতা। যেভাবে ভেবেছিলাম, আমরা করতে পারিনি এই টার্মের মধ্যে। রিজিওনাল ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন আমরা যতটা সহজ ভেবেছিলাম, করতে গিয়ে ততটা সহজ মনে হয়নি। আমরা দুটি জায়গায় টেস্ট কেস হিসেবে কমিটি করে শুরু করেছি, একটি চট্টগ্রাম, আরেকটি সিলেট। কী কী সমস্যার সম্মুখিন আমরা হতে পারি, তা দেখার জন্যই এই কমিটি। সেটা মোটামুটি শেষ।’
তিনি আরও বলেন, ‘আজকে উনাদেরকে (কাউন্সিলরদের) জানাতে পারলাম, এই দুটিকে পাইলট স্টাডি হিসেবে নিয়ে আমরা যা দেখছি, তাতে এটা করা সম্ভব। আমরা এখন অন্যান্য জায়গায়ও করে ফেলতে পারি। গঠনতন্ত্র ও নিয়মকানুন কী হবে, আমরা তাদের কাছে পৌঁছে দেব। কিছু সমস্যা আছে, যা আমাদের আগে ধারণা ছিল না। রিজিওনাল ক্রিকেটের মাঠ কোথায়? ডিসি থাকবে ওটার প্রধান? এখন তো ডিএসএ আছেই, ওটাই কি রাখছি? ওটাই কি রিজিওনাল ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন নাম করে দিলে হবে? তাহলে ডিসি কোথায় যাবে? মাঠগুলি কার হাতে? খেলাগুলো চালাবে কে? যতটা সিম্পল মনে হয় বাইরে থেকে, ততটা নয়।’
নাজমুল হাসান বলেন, ‘ওটা করতে গেলে যে অবকাঠামো দরকার, মৌলিক ভিত্তি দরকার, সেটিই করছি আমরা এখন। ওই দুই জায়গায় করে আমরা অভিজ্ঞতা পেয়েছি। এটা এতটা সহজ নয়। নতুন করে সাজাতে হয়েছে। ফরম্যাট নতুন করে করতে হয়েছে। গত দুই বছর কোভিডের কারণে আর সেভাবে আগায়নি। আগে তো ইজিএম করতে হবে। এজিএমই তো করতে পারছিলাম না। ইজিএম করে অনুমোদন করাতে হবে, কাজ আছে। তবে এখন আমরা বলতে পারি, এখন যে জায়গায় আছি, তাতে আত্মবিশ্বাস নিয়ে এটা করতে পারি। তবে বেশ কিছু বিনিয়োগ দরকার।’