নাসিম রুমি: বিপিএলের টিকিট নিয়ে ফের তুলকালাম হলো মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে। মিরপুর স্টেডিয়াম সংলগ্ন সুইমিং পুল কমপ্লেক্সের টিকেট কাউন্টারে অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুর করেছে বিক্ষুদ্ধ দর্শকরা। এরপর ঘটেছে সুইমিংপুলের গেট ভেঙে অনুপ্রবেশের মতো ঘটনা। শেরে বাংলার পূর্ব দিকে অবস্থিত সুইমিং পুলের পাশে টিকিট বিক্রির অস্থায়ী বুথে এই ঘটনা ঘটে।
গত সোমবার চলতি আসরের উদ্বেধনী দিনেও গেট ভেঙে দর্শকদের মাঠে ঢোকার ঘটনা ঘটেছিল। এরপরও টনক নড়েনি বিসিবির। আজ সকাল থেকেই টিকিটের জন্য আগে থেকে নির্ধারিত মিরপুর সুইমিং কমপ্লেক্সের পাশের বুথে অপেক্ষা করছিলেন দর্শকরা। অনলাইনের পাশাপাশি সেই বুথেও টিকিট কাটার ব্যবস্থা করেছিল বিসিবি। তবে ‘টিকিট পাওয়া যাচ্ছে না শোনার পর’ বেলা সাড়ে ১১টা নাগাদ বিশৃঙ্খলা দেখা দেয়।
কিছু দর্শক কাউন্টার ঘিরে রাখা বাঁশের বেড়া ধাক্কাতে থাকেন। পরে বুথে চালানো হয় ভাঙচুর। এক পর্যায়ে বিক্ষুব্ধ দর্শকরা সেখানে আগুন ধরিয়ে দেয়। তবে দ্রুতই আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে ফায়ার সার্ভিস। এরপর গেট ভেঙে ভেতরে প্রবেশের ঘটনাও দেখা গেছে। অনেকে কাউন্টারের বাঁশ খুলে সেটা দিয়ে সুইমিং কমপ্লেক্সের বাইরের গেট ভাঙচুর করেন। প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন, সবাই টিকিটের জন্যই লাইনে দাঁড়িয়েছিল। কিন্তু পরে যখন শুনতে পারে টিকিট নেই, তখন তারা ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে।
দ্রুতই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে আইন-শৃঙ্খলারক্ষাকারী বাহিনী। এমন পরিস্থিতিতে ক্রিকেটারদের নিরাপত্তা নিয়েও উঠেছে প্রশ্ন। দর্শকদের অভিযোগ- ব্যাংক ও বুথে ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়েও টিকিট পাচ্ছেন না। এদিকে ২৫ হাজার দর্শক ধারণক্ষম মিরপুরের গ্যালারি থাকছে ফাঁকা! স্টেডিয়ামের বাইরে কালোবাজারিরা ২০০ টাকার টিকিট বিক্রি করছে ৭০০-৮০০ টাকায়। প্রথম দিনের ঘটনায় নিজেদের দায় স্বীকার করেছিলেন বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদ। আজ তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।