নাসিম রুমি: মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের সর্বশেষ চার ইনিংসের রান ০, ১, ২, ৩। ফলে তীব্র সমালোচনা হচ্ছিল বাংলাদেশ দলের সবচেয়ে অভিজ্ঞ ক্রিকেটারকে নিয়ে। কঠিন চাপে সোমবার দলকে জেতাতে না পারলেও লড়াইয়ে পুঁজি এসেছে তার ব্যাটেই। খেলেছেন ৯৮ রানের ইনিংস। শেষ বলে সেঞ্চুরি পেতে ৩ রানের প্রয়োজন ছিল। কিন্তু দুই রান নিতে গিয়ে রান আউটের শিকার হয়েছেন মাহমুদউল্লাহ। ক্যারিয়ারের পঞ্চম সেঞ্চুরি ছোঁয়ার দ্বারপ্রান্তে থাকলেও সেটা ছুঁতে না পারার আক্ষেপ নিয়ে ড্রেসিংরুমে ফিরেছেন। মাহমুদউল্লাহর এমন লড়াকু ইনিংসে দারুণ খুশি প্রধান কোচ ফিল সিমন্স।
সোমবার শারজার তীব্র গরমে আফগানদের বিপক্ষে তৃতীয় ওয়ানডেতে ব্যাটিংয়ের সময় মাহমুদউল্লাহ বারবার অস্বস্তিতে পড়ছিলেন। তবে ৩৯ বছর বয়সী এই ব্যাটার বাধা-বিপত্তি ঠেলে ৯৮ বলে করেছেন ৯৮ রান। যেখানে ৫২ রান দৌড়ে নিয়েছেন। বাউন্ডারি থেকে নিয়েছেন ৪৬ রান।
এমন ইনিংসের পর ঠিকই কোচের প্রশংসা পাচ্ছেন তিনি। ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশের প্রধান কোচ বলেছেন, ‘দারুণ ইনিংস। প্রথম দুই ম্যাচে সে রান পায়নি। তবে আজ (সোমবার) এক প্রান্ত আগলে খেলে গেছে। সে থিতু হওয়ার পর বেশ সহজেই রান তুলেছে। আমি মনে করি এটা দারুণ ইনিংস ছিল।’
টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে বাংলাদেশ ৭২ রান তুলতেই হারায় ৪ উইকেট। এমন পরিস্থিতিতে দলের ত্রাতা বনে যান মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও মেহেদী হাসান মিরাজ। পঞ্চম উইকেটে দুজনে গড়েছেন ১৮৮ বলে ১৪৫ রানের জুটি। জুটি প্রসঙ্গে সিমন্স বলেছেন, ‘তাদের (মাহমুদউল্লাহ-মিরাজ) জুটিটা ভালো হয়েছে। শুরুতে ভালোই করছিল। উইকেটে থিতু হয়ে গেলো। জুটি গড়তে গেলে এমনটা অনেক সময় হয়। সে (মিরাজ) যখন ধীর গতিতে খেলছিল, মাহমুদউল্লাহ মেরে খেলেছে।’
মাহমুদউল্লাহ ও মিরাজের হাফ সেঞ্চুরিতে ভর করেই বাংলাদেশ ২৪৪ রানের সংগ্রহ দাঁড় করিয়েছে। মাহমুদউল্লাহ ৯৮ রানের ইনিংস খেলেছেন। অন্যদিকে মিরাজ খেলেছেন ৬৬ রানের ইনিংস। ২৪৫ রান তাড়া করতে নেমে আফগানিস্তানের ওপেনার রহমানউল্লাহ গুরবাজ তুলে নেন ওয়ানডে ক্যারিয়ারের অষ্টম সেঞ্চুরি। তিন বার জীবন পাওয়া গুরবাজের ব্যাটে চড়ে শেষ পর্যন্ত ১০ বল আগেই ৫ উইকেটে জয় পেয়েছে আফগানরা।