আগের ম্যাচে নিউজিল্যান্ড বোলারদের ওপর তাণ্ডব চালিয়েছিলেন বেন স্টোকস। ওই ম্যাচে তার সঙ্গী ছিলেন ডেভিড মালান। যদিও ৪ রানের জন্য সেঞ্চুরি করতে পারেননি তিনি। ৯৬ রানে আউট হয়েছিলেন।
কিন্তু শেষ ম্যাচে বেন স্টোকস না থাকলেও তার অনুপস্থিতিকে বুঝতে দেননি ডেভিড মালান। আগের ম্যাচে সেঞ্চুরি করতে না পারার আক্ষেপ মিটিয়েছেন সিরিজের শেষ ম্যাচে এসে। ১১৪ বলে করলেন ১২৭ রান।
লর্ডসে তার অসাধারণ সেঞ্চুরির ওপর ভর করে ৩১১ রানের বিশাল স্কোর গড়ে তুলেছিলো ইংলিশরা। জবাব দিতে নেমে ২১১ রানে অলআউট নিউজিল্যান্ড। ফলে ১০০ রানের বিশাল এক জয় নিয়ে সিরিজ শেষ করলো ইংল্যান্ড। সে সঙ্গে চার ম্যাচের সিরিজ জিতে নিলো তারা ৩-১ ব্যবধানে।
সিরিজের প্রথম ম্যাচে ২৯১ রান করেও ৮ উইকেটে হারতে হয়েছিলো ইংল্যান্ড। পরের তিন ম্যাচে আর ইংলিশদের সামনে দাঁড়াতেই পারেনি কিউইরা। দ্বিতীয় ম্যাচে ইংল্যান্ডের ২২৬ রানের জবাবে তারা অলআউট হয়েছিলো ১৪৭ রানে। চতুর্থ ম্যাচে ইংলিশদের ৩৬৮ রানের সামনে অলআউট হয়েছিলো ১৮৭ রানে। শেষ ম্যাচে এসে ৩১১ রানের জবাবে অলআউট হলো ২১১ রানে।
লর্ডস ক্রিকেট গ্রাউন্ডে টস জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয় ইংল্যান্ড। কিন্তু শুরুতেই জনি বেয়ারেস্টর উইকেট হারিয়ে কিছুটা বিপদে পড়ে যায় তারা। ১৬ বলে ১৩ রান করে আউট হন বেয়ারেস্ট।
শুধু বেয়ারেস্টই নন, একমাত্র ডেভিড মালানছাড়া নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে ইংলিশরা। জো রুট ৪০ বলে করেন ২৯ রান। হ্যারি ব্রুক ১৫ বলে ১০, জস বাটলার ৩১ বলে ৩৬, লিয়াম লিভিংস্টোন ৩৮ বলে ২৮, স্যাম কারান ১৩ বলে ২০, ডেভিড উইলি ১১ বলে ১৯ রান করেন।
৫ম ব্যাটার হিসেবে আউট হয়েছিলেন ডেভিড মালান। ১১৪ বলে ১২৭ রান করেন তিনি ১৪টি বাউন্ডারি এবং ৩টি ছক্কার মারে। শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ৩১১ রান সংগ্রহ করে ইংল্যান্ড। কিউইদের হয়ে রাচিন রবিন্দ্র ৬০ রান দিয়ে নেন ৪ উইকেট। ২টি করে উইকেট নেন ম্যাট হেনরি এবং ড্যারিল মিচেল। ১ উইকেট নেন কাইল জেমিসন।
জবাব দিতে নেমে ৩৮.২ ওভারে ২১১ রান করে অলআউট হয়ে যায় নিউজিল্যান্ড। রাচিন রবিন্দ্রই বোলিংয়ের মত ব্যাট হাতে ছিলেন সেরা পারফরমার। ৪৮ বলে ৬১ রান করেন তিনি। এছাড়া ৪৮ বলে ৪১ রান করেন হেনরি নিকোলস। ৩২ বলে ২৫ রান করেন গ্লেন ফিলিপস। ৩১ বলে ২৪ রান করেন উইল ইয়ং।