৪ মার্চ ২০২২। এক ভয়ংকর সন্ধ্যা নেমে আসে ক্রিকেট দুনিয়ায়। বিনা মেঘে বজ্রাঘাতের মতো খবর আসে, লেগ স্পিন কিংবদন্তি শেন ওয়ার্ন আর নেই! হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে তিনি না ফেরার দেশে পাড়ি জমিয়েছেন। দুই মাস পরের এক রবিবারের সকাল।
সাইমন্ডস এবং ওয়ার্ন কখনো বিতর্ক থেকে দূরে চলে গেলে বিতর্ক তাদের পিছু পিছু দৌড়াতে দৌড়াতে আসত। ক্রিকেট ছাড়ার পরেও বিতর্ক তাদের পিছন ছাড়েনি। একসঙ্গে ধারাভাষ্য দিতে গিয়েও জন্ম দিয়েছিলেন বিতর্কের।
বিগ ব্যাশের একটি ম্যাচে ধারাভাষ্য দিতে গিয়ে দুজনেই অজি ক্রিকেটার মার্নাস লাবুশানেকে নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করেন। সাইমন্ডস বলেছিলেন, ‘ওর এডিডি আছে। ‘ এডিডি মানে- ‘অ্যাটেনশন ডেফিসিট ডিসঅর্ডার’। অর্থাৎ এমন কোনো ব্যক্তি, যিনি সব সময় অন্যের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চান।
সাইমন্ডস জানতেন না, এই বিতর্কিত মন্তব্যের আগেই সরাসরি সম্প্রচার শুরু হয়ে গেছে। অস্ট্রেলিয়ান চ্যানেলের সেই ভিডিও সোশ্যাল সাইটে ছড়িয়ে পড়লে বিতর্কের সৃষ্টি হয়। এতে ক্ষমা চাইতে বাধ্য হয় সেই টিভি চ্যানেল।
টুইটারে চ্যানেলের পক্ষ থেকে লেখা হয়, ‘আমাদের প্রোগ্রাম আগেই শুরু হয়ে গিয়েছিল। সেই সময় এমন কিছু বক্তব্য সামনে আসে, যা গ্রহণযোগ্য নয়। চ্যানেল এবং ধারাভাষ্যকারদের পক্ষ থেকে আমরা ক্ষমাপ্রার্থী। ‘
কোনো সিরিজ বা ট্যুরে গেলেও ওয়ার্ন-সাইমন্ডস হোটেলে এক রুমে থাকতেন। একবার হোটেলের ঘর ভাগ করে নেওয়ার সময় ওয়ার্নের মোজায় ২৭ লাখ টাকা পেয়েছিলেন সাইমন্ডস। মাটিতে প্রায় ৪০ হাজার টাকা পড়ে থাকতে দেখেছিলেন তিনি। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টেস্ট চলাকালীন ক্যাসিনোতে জুয়ার ওই টাকা জিতেছিলেন ওয়ার্ন। বেশ অবাক হয়ে সাইমন্ডস যখন টাকার উৎস জানতে চান, তখন ওয়ার্ন বলেছিলেন, ‘কাল ক্যাসিনোতে একটা ছোট্ট জয় পেয়েছি। আর তুমি তো জানো, টাকাই রাজা!’
মাত্র দুই মাসের ব্যবধানে দুজনের বন্ধুত্ব, বিতর্ক সব কিছুর অবসান হয়ে গেল। আজ ক্রিকেট ইতিহাসের দুই খ্যাপাটে ক্রিকেটারের জন্য ক্রিকেটপ্রেমীদের চোখে জল।