বিশ্বকাপে আজ ভারত-শ্রীলঙ্কা ম্যাচটি হবে মুম্বাইয়ের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে। দুপুর আড়াইটায় বিরাট কোহলি, রোহিত শর্মারা খেলতে নেমে অন্যরকম এক অনুভূতি পাবেন। এই স্টেডিয়ামে মাস্টারব্লাস্টার শচীন টেন্ডুলকারের ভাস্কর্য স্থাপন করা হয়েছে। টেন্ডুলকারের প্রতি সম্মান জানিয়ে এই ভাস্কর্য স্থাপন করা হয়েছে। শচীনকে দিয়েই তার ভাস্কর্যটির উদ্বোধন করা হয়। টেন্ডুলকারের প্রতি সম্মান জানিয়ে এই ভাস্কর্য স্থাপন করা হয়েছে।
স্টেডিয়ামের শচীন টেন্ডুলকার স্ট্যান্ডের কাছে ভাস্কর্য স্থাপন করেছে মুম্বাই ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন। অনুষ্ঠানের আগে স্টেডিয়ামে উপস্থিত এক প্রতিবন্ধী ভক্তকে অটোগ্রাফও দেন শচীন। এই ভাস্কর্যটি শচীন টেন্ডুলকারের শট খেলার ভঙ্গিতে নির্মাণ করা হয়েছে। আহমেদনগরের চিত্রশিল্পী ভাস্কর প্রমোদ কাম্বলে এই ভাস্কর্য তৈরি করেছেন। ২০১৩ সালের নভেম্বরে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে শেষ টেস্ট খেলেন শচীন। তার অবসরের ১০ বছর পর এই ভাস্কর্য তার ঘরের মাঠ ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে স্থাপন করা হলো। নিজের ভাস্কর্য দেখে আবেগাপ্লুত শচীন।
২০১১ সালে বিশ্বকাপ ক্রিকেটের মুম্বাইয়ের ওয়াংখেড়ের মাঠে ভারত দ্বিতীয় বার বিশ্বকাপের ট্রফি জয় করেছিল। কপিল দেবের ’৮৩ বিশ্বকাপ জয়ের পর অনেক সময়ে গেছে দ্বিতীয় বার বিশ্বকাপ জয়ের অপেক্ষায়। সেই ওয়াংখেড়ের মাঠে কিংবদন্তি ক্রিকেটার শচীন টেন্ডুলকারের ভাস্কর্য স্থাপন করা হয়েছে গতকাল। মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডে, বিসিসিআই সেক্রেটারি জয় শাহ, বিসিসিআই সহসভাপতি রাজীব শুক্লা, এনসিপি প্রধান এবং সাবেক বিসিসিআই এবং আইসিসি প্রধান শরদ পাওয়ার, এমসিএ সভাপতি অমল কালে এই কর্মসূচিতে অংশ নেন। ছিলেন শচীনের স্ত্রী অঞ্জলী এবং তার কন্যা সারা।
শচীন ওয়ানডেতে ১৮,৪২৬ রানের মালিক। টেস্টে ১৫,৯২১ রান করেছেন। ১০০ সেঞ্চুরির মালিক শচীন। ২০১০ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি ওয়ানডে ক্রিকেটে প্রথম ডাবল সেঞ্চুরি করার রেকর্ড গড়েন শচীন। তার আগে অনেক ব্যাটসম্যান এক দিনের ক্রিকেটে ২০০ রানের কাছাকাছি গিয়েও পারেননি। কিন্তু সবার আগে শচীন এ মাইলফলক ছুঁয়ে ফেলেন। শচীন ২০০টি টেস্ট ম্যাচ খেলেছেন।