খেলোয়াড়ি জীবনে গৌতম গম্ভীরের সঙ্গে বাইশ গজে লড়েছেন শহীদ আফ্রিদি। বাকবিতণ্ডা-ঝগড়া হয়েছে তাদের। অবসরের পরও ভারত-পাকিস্তানের দুই ক্রিকেটারের দ্বৈরথ কমেনি বিন্দু পরিমাণ। প্রায়ই একে অপরকে উদ্দেশ্য করে আক্রমণাত্মক বার্তা দেন তারা। সম্প্রতি গম্ভীরকে নিয়ে এক টকশোতে বেফাঁস মন্তব্য করেন আফ্রিদি। পাকিস্তানের সাবেক অলরাউন্ডারের কথা শুনে হেসে দেন অনুষ্ঠানটির আরেক অতিথি হরভজন সিং। সতীর্থের বিরুদ্ধে মন্তব্য শুনেও প্রতিবাদ না করায় ভারতীয় সমর্থকদের সমালোচনার মুখে পড়েছেন হরভজন।
২০০৭ সালে সর্বপ্রথম মাঠে শহীদ আফ্রিদি ও গৌতম গম্ভীর ঝগড়ায় জড়ান। কানপুরে ভারত-পাকিস্তান ওয়ানডে ম্যাচে সিঙ্গেল নিতে গিয়ে বোলার আফ্রিদিকে ধাক্কা মারেন গম্ভীর। শুরু হয় কথা কাটাকাটি। এরপর অনেকবারই মাঠে দুই কিংবদন্তির বাকবিতণ্ডার ঘটনা ঘটেছে। খেলোয়াড়ি জীবনশেষে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম সরব দু’জন।
সম্প্রতি পাকিস্তানের টিভি চ্যানেল সামা টিভির এক টকশোতে উপস্থিত হয়ে আফ্রিদি দাবি করেন, ভারতের ড্রেসিংরুমে পছন্দের লোক ছিলেন না সাবেক ওপেনার গম্ভীর। আফ্রিদি বলেন, ‘ব্যাপারটা এমন নয় অনেক ভারতীয় ক্রিকেটারের সঙ্গে আমার ঝগড়া হয়েছে। হ্যাঁ, মাঝে মাঝে গৌতম গম্ভীরের সঙ্গে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বাগবিতণ্ডা হয়েছে। আমার মনে হয়, গৌতম এমন এক চরিত্র যাকে ভারতীয় দলের কেউই পছন্দ করত না।’
অনুষ্ঠানটিতে ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিলেন হরভজন সিং। আফ্রিদির মন্তব্য শুনে হাসতে শুরু করেন তিনি। হরভজনের নিরবতা পছন্দ হয়নি অনেক ভারতীয় সমর্থকের। একজন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লিখেছেন, ‘আফ্রিদির এমন মন্তব্য মানা যায়। তবে এটা দুঃখজনক যে, এটা শুনে প্রতিবাদ করার পরিবর্তে হাসছেন হরভজন।’
একজন তো হরভজনকে নির্লজ্জই বলে দিলেন। টুইটারে হরভজন সিংকে ম্যানশন দিয়ে তিনি লিখেছেন, ‘পাজি (সিংদের সম্বোধন) নির্লজ্জের হাসি এটা, তাই নয় কি?’
বিহারশাহিন নামের এক একাউন্ট থেকে আফ্রিদির মন্তব্যের বিরোধিতা করে লেখা হয়েছে, ‘‘আফ্রিদির ভুয়া বিবৃতি এটি। গৌতম গম্ভীর সবসময়ই ভারতের নায়ক হিসেবে থাকবেন। আফ্রিদি বলেছেন, ‘ভারতের কেউ গম্ভীরকে পছন্দ করতেন না’ কি আজেবাজে কথা এসব! আপনি (আফ্রিদি) গৌতম স্যারকে নিয়ে কিছু বলবেন না। আমরা তাকে ভালোবাসি।’