নাসিম রুমি: ক্রিকেট বিশ্বের অন্যতম এক লড়ায়ের নাম ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ। যেই ম্যাচের জন্য অপেক্ষায় থাকে বিশ্বের কোটি কোটি ক্রিকেটপ্রেমী। তবে সমস্যা হলো, রাজনৈতিক কারণে আইসিসি কিংবা এসিসির ইভেন্ট ছাড়া সম্প্রতি এই দু’দল একে অন্যের বিপক্ষে মুখোমুখি হয় না; খেলে না দ্বিপাক্ষিক সিরিজ। যা নিয়ে দু’দলের ক্রিকেটারদের মধ্যে আক্ষেপ থাকলেও দিনশেষে সেটা মন খুলে জানাতেও পারে না ক্রিকেটাররা।
এক্ষেত্রে তাও পাকিস্তানের ক্রিকেটাররা ভারতে এসে আইসিসির ইভেন্টে অংশ নেয়। কিন্তু ভারত সেটিও করে না। যা নিয়ে আক্ষেপ আছে পাকিস্তানের। পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়ক শহিদ আফ্রিদি তো বলেই ফেলেছেন, বিরাট কোহলি একবার পাকিস্তানের মাটিতে পা দিলে ভারতের কথা ভুলে যাবে।
তার এমন কথার কারণ পাকিস্তানের মাটিতে গড়াতে যাওয়া আসন্ন চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি। এই ইভেন্ট ঘিরে ভারতকে নিজেদের মাটিতে আমন্ত্রণ জানানোর পরিকল্পনা করছিল পাকিস্তান। তবে শেষ পর্যন্ত সেটি নিয়েও দেখা দিয়েছে শঙ্কা। বোর্ড সূত্রে ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম এএনআই জানিয়েছে পাকিস্তানের মাটিতে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে অংশ নেবে না ভারত।
সবশেষ এশিয়া কাপের মতোই হাইব্রিড মডেলে ভারত তাদের নিজেদের ম্যাচগুলো খেলতে চায় শ্রীলংকা কিংবা আরব আমিরাতের মাটিতে। আর সেটি হলে বিরাট কোহলি ও রোহিত শর্মাদের নিজেদের মাটিতে আতিথ্য দেওয়া হবে না পাকিস্তানের।
যা নিয়ে তাই হতাশা আফ্রিদির কণ্ঠে, ‘আমি পাকিস্তানকে টিম ইন্ডিয়াকে স্বাগত জানাব। আমরা যখন ভারত সফর করেছি, ভারতের কাছ থেকে অনেক সম্মান এবং ভালবাসা পেয়েছি। ২০০৫-০৬ সালে যখন ভারত আমাদের এখানে এসেছিল, তখন তাদের সমস্ত খেলোয়াড় উপভোগ করেছিল। ভারত ও পাকিস্তান একে অপরের দেশে গিয়ে ক্রিকেট খেলার চেয়ে ভালো ও শান্তির আর কিছু হয় না। বিরাট কোহলি পাকিস্তানে এলে ভারতের ভালোবাসা ও আতিথেয়তা ভুলে যাবে।’
আফ্রিদি আরও বলেন, ‘ক্রিকেট মানুষকে একত্রিত করার ক্ষমতা রাখে। কাজেই ভারত ও পাকিস্তান একে অপরের দেশে খেললে সেটা দেখার চেয়ে আনন্দদায়ক আর কিছু হবে না। কোহলি একজন গ্লোবাল আইকন। কাজেই সে যদি পাকিস্তানে আসে, তবে তার উপস্থিতি লক্ষ লক্ষ ভক্তের স্বপ্ন পূরণ করবে।’