৪৪ বলে ৬০ রান করেছেন। হয়তো ইচ্ছা ছিল ইনিংসটাকে আরও বড় করবেন। দলকে এগিয়ে নিয়ে যাবেন আরও অনেক দূর। কিন্তু তার আগেই নাহিদুজ্জামানের বলে ইরফান শুকুরের হাতে স্টাম্পড হলেন তিনি।
দলীয় রান এ সময় ১১০। শান্তর শঙ্কা জেগেছিল, এ অবস্থায় যদি দল হেরে যায়! এ কারণে মাঠ ছেড়ে বের হওয়ার সময় রাগে, ক্ষোভে নিজেই নিজের হেলমেট ছুড়ে মারেন নাজমুল হোসেন শান্ত এবং সে সঙ্গে ব্যাটও ফেলে রেখে ড্রেসিং রুমে ফিরে যান তিনি।
বিসিবির চোখে নাজমুল হোসেন শান্তর এই আচরণ, আচরণবিধি ভঙ্গের পর্যায়ে পড়ে। ফলে সিলেট স্ট্রাইকার্সের এই ওপেনারকে শাস্তি দিয়েছেন বিসিবির ম্যাচ রেফারি দেবব্রত পাল। তবে কোনো আর্থিক জরিমানা করা হয়নি।
বিসিবির পক্ষ থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, এমন আচরণের জন্য তাকে তিরস্কার করার পাশাপাশি নামের পাশে একটি ডিমেরিট পয়েন্ট যুক্ত করে দেওয়া হয়েছে। অভিযোগ মেনে নেওয়ায় আনুষ্ঠানিক শুনানির প্রয়োজন হয়নি।
বিসিবি জানিয়েছে, খেলোয়াড় আচরণবিধির আর্টিকেল ২.২ এর বিধি লঙ্ঘন করেছেন শান্ত। যে বিধিতে বলা হয়েছে, ক্রিকেটীয় উপকরণের ক্ষতি সাধনের কথা। বিসিবির নিয়ম অনুযায়ী, কোনো খেলোয়াড়ের নামের পাশে যদি চারটি ডিমেরিট পয়েন্ট যুক্ত হয়, তাহলে এক ম্যাচের জন্য নিষিদ্ধ হবেন তিনি।
ঘটনাটি ঘটে শনিবার বিপিএলে সিলেট পর্বে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের বিপক্ষে সিলেট সিক্সার্সের ম্যাচে। চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের করা ১৭৪ রান তাড়া করে ৭ উইকেটের বড় জয় তুলে নেয় সিলেট। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৬০ রানের ইনিংস খেলেন নাজমুল হোসেন শান্ত। দারুণ ছন্দে থাকায় আসরের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহকও হলেন তিনি।
কিন্তু ওই ইনিংস খেলার পর নিজের ওপর সন্তুষ্ট ছিলেন না শান্ত। ডাউন দ্য উইকেটে এসে স্পিন খেলতে গিয়ে স্টাম্পড হন বাঁ-হাতি এই ব্যাটার। নিজের ওপর অসন্তুষ্টি নিয়েই মাঠ ছাড়েন। এরপর বাউন্ডারি লাইন পেরিয়ে ডাগ আউটে যাওয়ার সময় হাতে থাকা হেলমেট ও ব্যাট মাটিতে ছুড়ে মারেন তিনি।