নাসিম রুমি: ভারতের বিরুদ্ধে ঐতিহাসিক সিরিজ জয়ের নায়ক মেহেদী হাসান মিরাজ। ব্যাট হাতে যে কেবল সেঞ্চুরি করেছেন, তাই নয়, বল হাতেও দারুণ ছিলেন। ফলে অনিবার্যভাবে তিনিই হয়েছেন ম্যান অব দি ম্যাচ। অবশ্য দুর্দান্ত ফর্মে থাকা এই খেলোয়াড় ম্যাচ শেষে বেশ বিনয়ী ছিলেন।
তিনি ম্যাচের পর বলেন, গত কয়েক বছর ধরে কঠিন পরিশ্রম করেছি। বিশেষ বিশেষ দিকে আমার বেশি নজর দেয়া দরকার ছিল। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলার জন্য অনেক তথ্য কোচ আমাকে দিয়েছেন। মাহমুদুল্লাহ সিনিয়র খেলোয়ার। আমরা স্রেফ বড় একটি পার্টনারশিপ গড়তে চেয়েছিলাম। আমার জন্য এটা ছিল বিরাট একটি ঘটনা। আর বোলিংয়ের সময় চেষ্টা করেছি, ঠিক জায়গায় বলছি ফেলতে।
মিরাজ যখন ক্রিজে নামেন তখন বাংলাদেশ ৬৯ রানে ৬ উইকেট হারিয়েছে। ধ্বংসস্তূপের সামনে দাঁড়িয়ে বুক চিতিয়ে লড়েছেন তিনি। মাহমুদুল্লাহর সঙ্গে তার ১৪৮ রানের জুটি হয়। অভিজ্ঞ মাহমুদুল্লাহ ধীরে খেললেও মিরাজ ছিলেন সাবলীল। এমনকি নাসুমের সঙ্গেও তার ৫৬ রানের জুটি হয়েছে। শেষ দুই ওভারে তিনি যেভাবে মারকুটে ব্যাটিং করে সেঞ্চুরি করেছেন তাও প্রশংসার যোগ্য।
ভারতের বিরুদ্ধে ম্যাচে দুর্দান্ত এক সেঞ্চুরি করেন মেহেদী হাসান মিরাজ। শেষ ওভারে ১৫ রান তুলে নিয়ে অসাধারণ এক শতক উপহার দেন তিনি। এটি তার ওয়ানডে ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি। ৮৩ বলে আটটি বাউন্ডারি ও চারটি ছক্কা দিয়ে সেঞ্চুরি করেছেন মিরাজ। আজ ভারতের বিপক্ষে দ্বিতীয় ওয়ানডেতে এই সেঞ্চুরি করেন তিনি।
এর আগে দলের নাজুক অবস্থায় হাল ধরেন মিরাজ। সাথে ছিলেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। এই জুটির দুর্দান্ত তালমিলে চ্যালেঞ্জিং স্কোর পায় বাংলাদেশ। শেষ ওভারে ১৫ রান তুলেন দুটি ছক্কা হাকিয়ে। করেন ওয়ানডে ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি।