২০১০ সালের ৪ জুলাই সাত পাকে বাঁধা পড়েছিলেন মহেন্দ্র সিং ধোনি ও সাক্ষী। দেখতে দেখেত দাম্পত্য জীবনের ১১ বছর অতিবাহিত করে ফেলেছেন তাঁরা। বিয়ের পর থেকে সাক্ষী চেন্নাই সুপার কিংসের প্রতিটি ম্যাচে গ্যালারিতে হাজির থেকেছেন। ধোনি ও তার দলের জন্য গলা ফাটিয়েছেন। সাক্ষীকে ভারতীয় দলের সঙ্গে একাধিক বিদেশ সফরেও পাওয়া গেছে। ২০১৫ সালে মাতৃত্বের স্বাদ পান সাক্ষী। বাবা হন ধোনি। ফুটফুটে কন্যাসন্তান জিভা আসে তাদের ঘরে। ধোনির স্ত্রী এই প্রথম ক্রিকেটার ধোনিকে বিয়ে করার বিড়ম্বনা নিয়ে মুখ খুললেন।
চেন্নাই সুপার কিংসের ইউটিউব ভিডিওতে সাক্ষী বলেন, ক্রিকেটারের স্ত্রী হতে পেরে আমরা গর্বিত। কারণ তাদেরকে কোটি কোটি মানুষের মধ্যে থেকে বেছে নেওয়া হয়েছে। তারা নিজেদের গুণেই আজ এই জায়গায় এসেছে। তারা এমন একটা খেলার সঙ্গে যুক্ত, যে খেলা এই মানুষের কাছে ভালবাসার। সাধারণত বিয়ের পর জীবন বদলে যায়। স্বামীরা অফিসে কাজ করতে যায়। কিন্তু আমাদের স্বামীরা খেলতে যায়। তো আমার মনে হয়ে তাদের আমাদের প্রতি বদলে যাওয়া চাহিদার সঙ্গে নিজেদের মানিয়ে নিতে হয়। যাতে তারা চাপে না থাকে।
সাক্ষী এই সাক্ষাৎকারে বলেছেন, ক্রিকেটারের স্ত্রী হলে ব্যক্তিগত জীবনে যে বিড়ম্বনার সম্মুখীন হতে হয়। সাক্ষী বলেন, ব্যাক্তিগত জায়গা বলে আর কিছু থাকে না। এখন আমরা ক্যামেরার সামনে যেমন, তেমনটা তো ব্যক্তিগত জীবনে থাকা যায় না। কেউ কেউ ক্যামেরার সামনে স্বাচ্ছন্দ্য। কেউ আবার নয়। বিশেষত ক্রিকেটারের স্ত্রীকে সাধারণ মানুষ অন্য ভাবে বিচার করে। বন্ধুদের সঙ্গে ঘুরতে গেলেও তারা কথা বলে। উল্লেখ্য, আগামী ২৬ মার্চ ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে ১৫তম আইপিএলের উদ্বোধনী ম্যাচ। মুখোমুখি গতবারের চ্য়াম্পিয়ন চেন্নাই সুপার কিংস ও রানার্সআপ কেকেআর। সেই ম্যাচে গ্যালারিতে সাক্ষী থাকবেন, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।