চলতি বছরের অক্টোবর-নভেম্বরে ভারতে অনুষ্ঠিত হবে ওয়ানডে বিশ্বকাপ। আর এই বিশ্বকাপ পর্যন্ত ক্রিকেটের সব সংস্করণে পাকিস্তান দলের নেতৃত্ব দেবেন বাবর আজম। এমনটাই জানিয়েছেন দেশটির ক্রিকেট বোর্ড।
এর আগে, বাবরের অধিনায়কত্ব নিয়ে নানান আলোচনা-সমালোচনার ঝড় ওঠে। নেতৃত্ব ছেড়ে বাবরকে ব্যাটিংয়ে মনোযোগ দিতে বলেন দ্য গ্রিন ম্যানদের সাবেক অনেক ক্রিকেটার। পিসিবির চেয়ারম্যান নাজাম শেঠিও জানান, বাবর শুধু নিউজিল্যান্ড সিরিজেই অধিনায়ক থাকছেন।
তবে শেঠি সম্প্রতি শর্তসাপেক্ষে বাবরকেই পাকদের অধিনায়ক হিসেবে সমর্থনের প্রস্তাব দিয়েছেন। তার ভাষ্য, যতক্ষণ দল জিততে থাকবে, ততক্ষণ পাকিস্তানের অধিনায়ক পরিবর্তন করা হবে না।
এদিকে পাকিস্তান দলে ‘ডিরেক্টর অব ক্রিকেট’ পদে মিকি আর্থারকে নিয়োগ দিয়েছে পিসিবি। বৃহস্পতিবার আর্থারের নিয়োগের বিষয়টি আনুষ্ঠানিকভাবে জানিয়েছে পিসিবি। আর দায়িত্ব নেওয়ার পর বাবরের অধিনায়কত্ব নিয়েও নাকি সবুজ সংকেত দিয়েছেন আর্থার।
দেশটির সংবাদমাধ্যম ক্রিকেট পাকিস্তান জানিয়েছে, এখন অন্তত এই বছরের ওয়ানডে বিশ্বকাপ পর্যন্ত পাকিস্তান ক্রিকেট দলের দায়িত্বে থাকছেন বাবর। শিগগিরই আনুষ্ঠানিক ঘোষণাও আসছে।
সম্প্রতি এক সংক্ষিপ্ত সফরে পাকিস্তানে এসেছেন আর্থার। সফরকালে পিসিবির চেয়ারম্যানের সঙ্গে বৈঠকও করেন আর্থার। এ সময় তিনি বাবরকেই পাকিস্তানের অধিনায়ক রাখার পক্ষে ভোট দিয়েছেন। এই প্রোটিয়া কোচের ভাষ্য, পাকিস্তান দলকে সঠিক পথে পরিচালনা করার সক্ষমতা বাবরের আছে।
এদিকে দেশটির ক্রিকেট বোর্ডের একটি সূত্র সংবাদমাধ্যমটিকে জানিয়েছে, বৈঠকে বাবর আজমের বিকল্প কে হবেন, তা নিয়েও বেশ আলোচনা হয়। কিন্তু সেখানে বাবরের স্থলাভিষিক্ত হওয়ার মতো যোগ্য কাউকে খুঁজে পাননি তারা।
দ্য গ্রিন ম্যানদের হয়ে ২১টি ওয়ানডে ম্যাচে নেতৃত্ব দিয়েছেন বাবর। এর মধ্যে ১৩ জয়ের সঙ্গে ৭ ম্যাচে হেরেছে পাকরা। এ ছাড়া টেস্টে ১৮টি ম্যাচে পাকিস্তানের নেতৃত্ব দিয়েছেন এই ওপেনার। এর মধ্যে ৮ জয়ের সঙ্গে ৪টি ড্র রয়েছে বাবরের ঝুলিতে, আর হার ৬ ম্যাচে।
ক্রিকেটের সংক্ষিপ্ত সংস্করণে পাকিস্তানের হয়ে রেকর্ড ৭০ ম্যাচে নেতৃত্ব দিয়েছেন বাবর। এই পাক কাপ্তানের ঝুলিতে রয়েছে ৪২টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচে জয়। আর একটি মাত্র ম্যাচে জয় পেলেই অধিনায়ক হিসেবে সবচেয়ে বেশি ম্যাচ জয়ের রেকর্ড গড়বেন বাবর।