নাসিম রুমি: টি টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পারফরম্যান্স দেখেই কঠোর হতে যাচ্ছে বিসিবি। দলে থাকা কারও জন্য হতে পারে শেষ সুযোগ। আবার কারও জন্য শেষ বিশ্বকাপ এটা, মনে করেন বোর্ড সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন। টি-টোয়েন্টির ভবিষ্যত ভাবনায় বিশ্বকাপের পর নতুন পরিকল্পনায় এগোবে ম্যানেজমেন্ট।
সাকিব তিন ফরম্যাটে খেলছেন এখনো, কিন্তু রাজনীতি-বাণিজ্যিক ব্যস্ততা তাকে ঘিরে রেখেছে…সেরা অলরাউন্ডার এখন ক্যারিয়ারের সায়াহ্নে। ফর্মও পড়তির দিকে। আজ নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে অবশ্য দারুণ ছন্দে দেখা যাচ্ছে সাকিবকে।
মাহমুদউল্লাহ টেস্ট ছেড়েছেন, টি-টোয়েন্টিতে ফিরে ভালোই করছেন। তামিম-মুশফিক এই ফরম্যাট থেকে অবসরে গেছেন। টাইগার ক্রিকেট, যেন নতুন করে শুরুর কাছে। হৃদয়-রিশাদের মতো তরুণরাই আগামীর ভরসা। ক্রিকেট বোর্ডও সেই চ্যা্লেঞ্জ নিয়ে ভাবছে।
বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন তরুণ ক্রিকেটারদের পারফরম্যান্সে সন্তুষ্ট হলেও ভবিষ্যৎ নেতৃত্ব নিয়ে বলেন, ‘তানজিদ তামিম, তাওহীদ হৃদয়, রিশাদ, তানজিম সাকিব এরা সকলেই যে এখন তামিম-সাকিব-মুশফিক-রিয়াদ হয়ে গেছে তার কোনো প্রশ্নই ওঠে না। এদের সুবিধা হচ্ছে একটা… এদের থেকে আমরা বেছে নিতে পারব কারা ভবিষ্যতে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে নেতৃত্ব দিতে পারবে।’
সৌম্য-লিটন, অনেকদিন হলো আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলছেন। কিন্তু তাদের ধারাবাহিকতার অভাব চাপে ফেলে দলকে। নতুনদেরও উঠে আসা হয় না সেভাবে। বিসিবি হার্ডলাইনে যেতে পারছে না বিকল্পের অভাবে।
বাংলাদেশের পাইপলাইনে বিকল্প থাকলেও নতুনদের বিশ্বকাপে বেশি সুযোগ দেওয়া ঠিক হবে না জানিয়ে নাজমুল হাসান বলেন, ‘সবই যদি নতুন নিয়ে এসে একটা বিশ্বকাপে নামানো হয়, তাহলে বেশি রিস্ক হয়ে যায়। আমাদের পাইপলাইনে আরও পাঁচ-ছয়জন রেডি আছে, এমন না যে নাই। আমরা দেখছি যারা আছে তারা কন্টিনিউ করতে পারবে কি না। কেউ কেউ আছে তারা হয়তো কন্টিনিউ করতেও পারে, আবার নাও পারে। তখন কী করব এই যে গ্যাপ… তাই আমরা কে খেলবে না খেলবে সেই পরিকল্পনা নিয়ে আগাচ্ছি।’
বোর্ড সভাপতির কথায় একটি বার্তা একেবারে পরিষ্কার। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর পারফরম্যান্স দেখে দল গঠন, ক্রিকেটার নির্বাচনে ভিন্নভাবে ভাববে বিসিবি এবং কঠিন সিদ্ধান্ত নিবে।