নাসিম রুমি: এশিয়া কাপের আগে অনেকটা হুট করেই তামিম ইকবাল ওয়ানডে অধিনায়কত্ব ছাড়ার ঘোষণা দেন। এরপর নেতৃত্ব নিয়ে দোটানাতেই পরে বোর্ড।
তাদের পছন্দ ছিলেন সাকিব আল হাসান। কিন্তু শুরুতে তার অধিনায়কত্ব নিয়ে অনাগ্রহ ছিল বলে জানিয়েছেন এই অলরাউন্ডার।
এশিয়া কাপের পরও নেতৃত্ব ছাড়তে চেয়েছিলেন এই অলরাউন্ডার। কেন অধিনায়কত্ব করতে চান না? তিনি বলছেন, ক্যারিয়ারের শেষদিকের এই সময়টা কাটাতে চান উপভোগ করেই।
সঙ্গে জানান, বিশ্বকাপের পর আর একদিনও অধিনায়ক থাকতে চান না।
বিসিবিকে কোনো শর্ত দিয়ে অধিনায়কত্ব নিয়েছেন কি না এমন প্রশ্নে সাকিব বলেন, ‘প্রথমত আমি কোনো শর্তই দেইনি।
যে পরিস্থিতিতে অধিনায়কত্ব আমি নিয়েছি, সবচেয়ে সেরা হতো না নেওয়া। করার মতো সবচেয়ে সহজ কাজ। পাপন ভাইকেও শুরুতে বলেছি এবার আর করবো না। এখন পরিস্থিতি ঠিক নাই। এই পরিস্থিতিতে আমার করার দরকারই নাই। কারণ হচ্ছে আমার এই বয়সে এসে, এই অবস্থায় এসে এমন চাপ নেওয়ার কোনো কারণই নাই। আমি হাসতে চাই, উপভোগ করতে চাই খেলা, বাংলাদেশের হয়ে পারফর্ম করতে চাই। এবং ভালোভাবে শেষ কিছুদিন পাড় করতে চাই। এটা হচ্ছে আমার ব্যক্তিগত ইচ্ছে। ’
‘এরপর সে তার মতো বর্ণনা করলো। এখন পরিস্থিতি কী, কী হতে পারে। অন্য কেউ করলে কে করবে। সেটা হলে কী রেজাল্ট আসতে পারে। একটা অধিনায়কের কাজ তো আসলে দলকে মাঠের ভেতরে চালানো না। মাঠের বাইরে যে কাজ, সেগুলো করে একজন অধিনায়কের লাস্ট স্টেজ হচ্ছে মাঠ চালানো। বোর্ডের, কোচ, টিম ম্যানেজম্যান্টের মনে হয়েছে আমি ছাড়া এটা এখন সম্ভব না। আমি বললাম ঠিক আছে। ’
লম্বা সময় অধিনায়কত্ব করা প্রসঙ্গে সাকিব বলেন, ‘একটা শর্তও দেইনি অধিনায়কত্ব নিয়ে। কেউ যদি বলে আমি একটা শর্ত দিয়েছি যে আমি এটা চাই, এরকম হলে ভালো হতো। কেউ বলতে পারবে না। একটা শর্তও না। যখন আমি এগুলো নিউজে দেখেছি, শুধু হেসেছি। কখনো বলিনি। এখনকার যে বাস্তব পরিস্থিতি আছে আমি এই বিশ্বকাপ পর্যন্ত আমি অধিনায়কত্ব করবো। একদিন পরেও না। ’
‘তেমন কোনো কারণ নেই। বেস্ট হয় যদি অধিনায়ক না থাকি। অধিনায়কত্ব কি আমার কোনো ভেল্যু এড করতেছে ক্যারিয়ারে এই স্টেজে এসে? আমি তো মনে করি না