নাসিম রুমি: সম্প্রতি আমদানি করা ৫০টি বিলাসবহুল গাড়ি খালাসের জন্য চট্টগ্রাম বন্দরে আটকা পড়েছে। তবে সাবেক সংসদ সদস্য ও ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান এবং চিত্রনায়ক ফেরদৌস আহমেদসহ কয়েকজন শুল্কমুক্ত সুবিধায় তাদের গাড়ি আগেই খালাস করিয়ে নিয়েছেন।
বন্দর সূত্রে জানা গেছে, ৫০টি বিলাসবহুল শুল্কমুক্ত সুবিধায় এনেছিলেন সাবেক সংসদ সদস্যরা। কিন্তু গাড়ি বন্দরে আসার আগেই সংসদ বিলুপ্ত হওয়ায় এখন আর গাড়িগুলো শুল্কমুক্ত সুবিধায় ছাড় করানো যাবে না। ফলে গাড়িগুলো কোটি টাকার মধ্যে আমদানি হলেও এখন এসব ছাড়াতে অন্তত ৬ কোটি টাকা করে শুল্ক দিতে হবে।
কাস্টমস সূত্রে জানা গেছে, গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের কয়েকদিন আগে কয়েকজন সংসদ সদস্য তাদের গাড়ি খালাস করে নিয়েছেন। তাদের মধ্যে রয়েছেন সাবেক সংসদ সদস্য ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান, চিত্রনায়ক ফেরদৌস আহমেদসহ কয়েকজন। সাকিব-ফেরদৌস ছাড়া আর কারা খালাস করেছেন, তা জানা যায়নি। তবে সাবেক সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমনসহ অনেক এমপি-মন্ত্রী তাদের গাড়ি খালাস করতে পারেননি।
কাস্টমস সূত্র জানায়, গাড়িগুলোর বেশিরভাগ গাড়ি জাপান ও সিঙ্গাপুর থেকে আমদানি করা হয়েছে। এরমধ্যে টয়োটা ল্যান্ড ক্রুজার, টয়োটা জিপ, টয়োটা এলসি স্টেশন ওয়াগট মডেলের গাড়িগুলোর ইঞ্জিন ক্যাপাসিটি ৪ হাজার সিসি।
মঙ্গলবার বন্দরের কার শেডে গিয়ে দেখা গেছে, শেডের একটি লাইনে সারিবদ্ধভাবে রাখা হয়েছে বিলাসবহুল গাড়িগুলো।
চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউজের কর্মকর্তারা বলেন, সংসদ সদস্য না থাকায় তারা এখন আর শুল্কমুক্ত গাড়ি ছাড়ের সুবিধা পাবেন না। এসব গাড়ি ছাড় নিতে হলে নির্ধারিত শুল্ক পরিশোধ করতে হবে। ৪ হাজার সিসির প্রতিটি ৮২৬ শতাংশ হারে শুল্ক দিতে হবে।