ঈদুল আজহার আনুষ্ঠানিকতা শেষ হয়ে গেলেও ঘরে ঘরে ঈদের আমেজ কিছুটা এখনো আছে। প্রতিদিন টেলিভিশন, ইউটিউব ও ফেসবুকে ঈদ আড্ডা নতুনমাত্রা যোগ করেছে। বিশেষ করে তারকাদের আড্ডা ঈদপরবর্তী আনন্দ আরও বাড়িয়ে দিয়েছে।
এ সময় ক্রিকেট খেলার জীবনে স্মরণীয় ঘটনা বলতে বলা হয়।
এ সময় অতীত স্মৃতি হাতড়িয়ে প্রথম লর্ডসে খেলার অভিজ্ঞতা শেয়ার করে মুশফিক বলেন, লর্ডসের গ্রাউন্ডে কেউ যদি গিয়ে থাকেন তা হলে দেখবেন, ওটার ড্রেসিং রুমটা দোতলা-তিনতলার মতো থাকে। সেখান থেকে হেঁটে হেঁটে আসতে হয়। ওই সময় দুই পাশে প্রচুর ভক্ত ও দর্শকের ভিড় থাকে।
তারা (দর্শকরা) স্বাগত জানাতে থাকেন। সেই সময় নিজেকে খুব গর্বিত মনে হয় এ জন্য যে, দেশের হয়ে খেলতে নামছি। তবে সত্যি কথা বলতে— ওই সময় খুব নার্ভাস ফিল হচ্ছিল। এর কারণ হচ্ছে— টেলিভিশনে যাদের খেলা দেখে বড় হয়েছি, তাদের ফেস বা মোকাবিলা করতে যাচ্ছি। নার্ভাস হওয়াটা খুবই স্বাভাবিক ছিল। কারণ যাদের দেখে অনুসরণ করতাম, তাদের সঙ্গে মোকাবিলা করতে যাচ্ছি।
ওই সময় আমার বাবার একটা কথা খুবই মনে পড়ছিল। বাবা বলেছিলেন যে, বাবা মুশফিক লর্ডসে খেল আর বগুড়ার যে কোনো মাঠে খেল— মাঠের ২২ গজ সেটি কিন্তু ছোট হয়ে আসবে না।
যে কোনো মাঠেই সেটি ২২ গজই থাকবে। সেই ২২ গজের মধ্যে বোলার বল করবে, আর তুমি ব্যাটিং করবা। বগুড়ার মাঠে যেহেতু ভালো খেলছো, যে কোনো মাঠেই ভালো খেলবা। এই কথাটি অনেক আমাকে উৎসাহ দিয়েছে, পাশাপাশি আমার নার্ভাস দূর করেছে।