নাসিম রুমি: সেই ১৯৯৯ সালের অক্টোবরে শুরু। শারজায় এক ত্রিদেশীয় সিরিজে পাকিস্তান মাঠে নামাল এক তরুণ অফ স্পিনারকে। অনেকটাই সাকলায়েন মুশতাকের মতো করে বোলিং করছিলেন বলেই তাঁকে নিয়ে তৈরি হয় আলাদা আগ্রহ। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে নিজের অভিষেক ম্যাচেই ৮ ওভার বোলিং করে ৩৪ রানে ২ উইকেট নিয়েছিলেন সেই তরুণ। নাম শোয়েব মালিক।
এরপর তাঁকে আর পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি। একেকটি সিঁড়ি ডিঙিয়ে পাকিস্তান ক্রিকেট দলের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ তারকা হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। নেতৃত্বও দিয়েছেন দেশকে। প্রায় ২৪ বছর হয়ে গেছে তাঁর ক্রিকেট ক্যারিয়ার। ৪১ বছর বয়সেও চুটিয়ে খেলে যাচ্ছেন শোয়েব মালিক। টেস্ট ও ওয়ানডেকে বিদায় বললেও খেলে যাচ্ছেন টি-টোয়েন্টি।
গতকাল পিএসএলে করাচি কিংসের হয়ে পেশোয়ার জালমির বিপক্ষে শোয়েব খেলেছেন ৩৪ বলে ৫২ রানের ইনিংস। ৪ বাউন্ডারি আর ২ ছক্কায় সাজানো এই ইনিংসের ওপর ভর করেই পেশোয়ারের করা ১৯৯ রান প্রায় তাড়া করে ফেলেছিল করাচি। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ১৯৭ রানে থেমে যায় দলটি। কিছুদিন আগে বিপিএলেও রংপুর রাইডার্সের হয়ে দুর্দান্ত খেলেছেন মালিক।
শোয়েব মালিক অনেকটা টি-টোয়েন্টি ব্যাটিংয়ের ঢঙেই উড়িয়ে দিয়েছেন বয়সের ব্যাপারটি। তিনি বয়সের বদলে সবাইকে ‘অভিজ্ঞতা’কে মূল্যায়ন করার পরামর্শ দিয়েছেন
বয়স নিয়ে শোয়েব মালিকের উত্তরটা ছিল বেশ মজার। তিনি উদাহরণ টেনেছেন বলিউড তারকা শাহরুখ খান আর টেনিসের ২২ গ্র্যান্ড স্লাম বিজয়ী তারকা নোভাক জোকোভিচের, ‘শাহরুখ খান এই বয়সে সম্প্রতি একটা ছবি সুপারহিট করিয়েছেন। জোকোভিচ ৩৬ বছর বয়সে অস্ট্রেলিয়ান ওপেন জিতেছেন। শাহরুখকে তাঁর সাম্প্রতিক ছবিতে দেখে তো মনে হয়েছে “ওল্ড ইজ গোল্ড”।