নাসিম রুমি: টেস্ট, ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি—তিন সংস্করণ থেকেই পাকিস্তানের অধিনায়কত্ব ছেড়ে দিয়েছেন বাবর আজম। আজ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক বার্তায় তিনি এ ঘোষণা দেন।
পদত্যাগের ঘোষণা দেওয়ার আগে পিসিবি চেয়ারম্যান জাকা আশরাফের সঙ্গে দেখা করেন বাবর। নেতৃত্ব ছাড়লেও তিন সংস্করণেই খেলা চালিয়ে যাওয়ার কথা জানিয়েছেন ২৯ বছর বয়সী এই ব্যাটসম্যান।
বাবরকে সাদা বলের ক্রিকেটে নেতৃত্ব দেওয়া হয়েছিল ২০১৯ সালে। টেস্টের দায়িত্ব পান ২০২০ সালে। চার বছর ধরে অধিনায়কত্ব করলেও তাঁর নেতৃত্বে অসন্তোষ প্রকাশ করতে দেখা গেছে সাবেক ক্রিকেটারদের। এ সময়ে পাকিস্তান আইসিসির কোনো টুর্নামেন্টও জেতেনি।
এ বছর ওয়ানডে র্যাঙ্কিংয়ের ১ নম্বর দল হিসেবে বিশ্বকাপ খেলতে গিয়েছিল পাকিস্তান। কিন্তু ৯ ম্যাচের পাঁচটিতে হেরে লিগ পর্ব থেকেই দলটি বিদায় নেয়।
টুর্নামেন্টে বাবরও নিজের মান অনুযায়ী খেলতে পারেননি। র্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষ ব্যাটসম্যান হিসেবে খেলতে নেমে কোনো শতক পাননি, ৯ ইনিংসে ৪০ গড়ে করেন ৩২০ রান। দলের নেতৃত্বের চাপ বাবরের ব্যাটেও ছাপ ফেলেছে বলে সমালোচনা আরও জোরালো হয়।
নেতৃত্ব নিয়ে আলোচনা-সমালোচনার মধ্যে বুধবার পিসিবি চেয়ারম্যানের সঙ্গে দেখা করতে যান বাবর। পাকিস্তানের জিও সুপার জানায়, বাবরকে শুধু টেস্ট অধিনায়কত্ব রেখে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি ছেড়ে দিতে বলা হয়। কিন্তু এ প্রস্তাবে তিনি রাজি হননি।
পিসিবি চেয়ারম্যানের সঙ্গে কথা বলে আসার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই ইনস্টাগ্রামে পদত্যাগ-বার্তা পোস্ট করেন বাবর। সেখানে চার বছরের অধিনায়কত্বের প্রসঙ্গ তুলে ধরা তিনি লিখেছেন, ‘এ সময়ে আমি মাঠ ও মাঠের বাইরে নানা উত্থান-পতনের অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে গেছি। তবে সব সময়ই ক্রিকেট–বিশ্বে পাকিস্তানের গৌরব ও সম্মান বজায় রাখার দিকে লক্ষ রেখেছি।’
খেলোয়াড়, কোচ ও ম্যানেজমেন্টের সমন্বিত অবদানে পাকিস্তান তাঁর নেতৃত্বে সাদা বলের ক্রিকেটে ১ নম্বর দল হওয়ায় এবং সমর্থন জোগানোয় সমর্থকদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান বাবর।