নাসিমরুমি: টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে যেতে পারেনি বাংলাদেশ। প্রতিযোগিতা থেকে ছিটকে গেলেও দলের কয়েক জন ক্রিকেটার নজর কেড়েছেন। তার ফল তাঁরা পেতে পারেন আইপিএলের নিলামে। ডিসেম্বর মাসে আইপিএলের ছোট নিলাম হওয়ার কথা। সেখানে তিন জন বাংলাদেশি ক্রিকেটারের দিকে নজর থাকবে ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলির।
লিটন দাস: এ বারের বিশ্বকাপে খুব ভাল খেলেছেন লিটন। বিশেষ করে ভারতের বিরুদ্ধে তাঁর ইনিংস মুগ্ধ করেছে বিরাট কোহলিকেও। ম্যাচ শেষে বাংলাদেশের সাজঘরে গিয়ে লিটনকে নিজের ব্যাট উপহার দিয়ে এসেছেন কোহলি।
শুরুতে নেমে বড় শট খেলার সহজাত দক্ষতা রয়েছে লিটনের। পেসারদের বিরুদ্ধে সামনের পায়ে খেলতে পারেন। উপমহাদেশের উইকেটেও সফল এই ডান হাতি ব্যাটার। টি-টোয়েন্টিতে ৬৩টি ম্যাচে ১৩১৮ রান করেছেন লিটন।
স্ট্রাইক রেট ১২৬.৪৮। ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি উইকেটরক্ষকের দায়িত্ব পালন করেন তিনি। অর্থাৎ, দলে অতিরিক্ত উইকেটরক্ষক হিসাবে রাখা যেতে পারে তাঁকে। এ বারের নিলামে তাঁর দিকে নজর রাখতে পারেন দলগুলি।
তাসকিন আহমেদ: বল হাতে বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের মধ্যে সব থেকে বেশি নজর কেড়েছেন তাসকিন আহমেদ। তাঁর সতীর্থ মুস্তাফিজুর রহমান আইপিএলে খেললেও এ বারের বিশ্বকাপে মুস্তাফিজুরকে ছাপিয়ে গিয়েছেন তাসকিন।
তাঁর গতি সামলাতে হিমশিম খেয়েছেন বড় বড় ব্যাটাররা। বিশ্বকাপে ৮টি উইকেট নিয়েছেন তাসকিন। নতুন বলে তাঁর উইকেট নেওয়ার দক্ষতার জন্য তাঁর দিকে নজর দিতে পারে আইপিএলের বেশ কিছু দল।
ছোট ফরম্যাটের জন্য তাসকিন খুব ভয়ঙ্কর বোলার। কারণ, চার ওভারই একই গতিতে বল করতে পারেন তিনি। তা ছাড়া ব্যাট হাতেও বড় শট খেলতে পারেন তাসকিন। সেটাও নজরে থাকবে দলগুলির।
শাকিব আল হাসান: এ বারের বিশ্বকাপ ভাল যায়নি শাকিবের। কিন্তু তাঁর দক্ষতা নিয়ে কারও সন্দেহ নেই। ব্যাট হাতে রান না পেলেও বল হাতে খুব একটা খারাপ খেলেননি তিনি। গত কয়েক বছরে আইপিএলে ধারাবাহিক ভাবে খেলা শাকিব এ বার দল পাননি।
কিন্তু দলের ফাঁক ভরাট করার জন্য তাঁর দিকে তাকাতে পারে দলগুলি। শাকিবের মতো অলরাউন্ডার যে কোনও দলের অন্যতম প্রধান ভরসা। আগামী নিলামে ১০টি ফ্র্যাঞ্চাইজি মিলিয়ে মোট ৯৫ কোটি টাকা নিয়ে নামবে।
অর্থাৎ, খুব বেশি ক্রিকেটারের দিকে নজর দিতে পারবে না তারা। নিজেদের দু’একটি দুর্বলতা ভরাট করার দিকে নজর দেবে তারা। সে ক্ষেত্রে বাংলাদেশের এই ক্রিকেটাররা কিন্তু ভাল বিকল্প হতে পারেন।