রেকর্ডগড়া বোলিংয়ে ঘরের মাঠে পাকিস্তানের বিপক্ষে প্রথমবার টি-টোয়েন্টি সিরিজ জয়ে বড় অবদান রেখেছিলেন বাংলাদেশের নাহিদা আক্তার। ফলে মনোনয়ন পেয়েছিলেন আইসিসির অক্টোবরে মাসসেরার। তবে হেইলি ম্যাথিউসের সঙ্গে পেরে উঠতে পারেননি বাঁহাতি এই স্পিনার।
এরপর নভেম্বরেও স্পিন জাদু দেখিয়েছেন নাহিদা। ফলে টানা দুই মাসে আইসিসির ‘প্লেয়ার অব দ্য মান্থ’ পুরস্কারের জন্য মনোনয়ন পান তিনি। এবার নভেম্বরে এই পুরস্কার পেয়েছেন প্রমীলা এই ক্রিকেটার। প্রথম বাংলাদেশি নারী হিসেবে এমন পুরস্কার জিতে ইতিহাস গড়েছেন নাহিদা।
সেরার তালিকায় মনোনয়ন পাওয়া আরেক বাংলাদেশি টপ-অর্ডার ব্যাটার ফারজানা হক পিকিংও ছিলেন। পুরো সিরিজে প্রায় ৩৭ গড়ে ১১০ রান করেন তিনি। যেখানে তার সেরা ইনিংসটি ছিল ৬২ রানের।
টাইগ্রেস এই দুই ক্রিকেটারের সঙ্গে মনোনয়ন পেয়েছিলেন পাকিস্তানের সাদিয়া ইকবাল।
নাহিদার ভাষ্য, এই মুহূর্ত অবশ্যই উদযাপন করতে চাই। ক্রিকেট বোদ্ধাদের এতো বড় প্যানেলের মাধ্যমে স্বীকৃতি পাওয়া এবং আইসিসির মাসসেরা নারী ক্রিকেটার হওয়া অবশ্যই দারুণ কিছু। এটা আমার জন্য অনুপ্রেরণা এবং সামনে এগিয়ে যাওয়ার পাথেয় হিসেবে কাজ করবে।
তিনি যোগ করেন, সাম্প্রতিক সময়ে আমরা বেশ দারুণ ক্রিকেট খেলছি। আমি খুবই খুশি দল হিসেবে কয়েকটি পরীক্ষায় দলের সফলতায় অবদান রাখায়। আমি অবশ্যই আমার অধিনায়ক, কোচ, দলের ক্রিকেটারদের ধন্যবাদ জানাতে চাই আমার ওপর বিশ্বাস রাখার জন্য। এর কারণে ভালো দলের বিপক্ষে আমি আমার স্বাভাবিক খেলাটা খেলতে পেরেছি এবং চাপের মধ্যে পারফর্ম করেছি।
গত আগস্টে পাকিস্তান নারী দলের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজ জিতে ইতিহাস গড়ে বাংলাদেশ নারী দল। এরপর নভেম্বরে একই পক্ষের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ জিতে বাংলাদেশ নারী দল। যেখানে বড় অবদান ছিল স্পিনার নাহিদা আক্তারের।
ঘরের মাঠে পাকিস্তান নারী দলকে ২-১ ব্যবধানে সিরিজ হারিয়েছে বাংলাদেশ নারী দল। যেখানে ৭ উইকেট শিকার করে সিরিজ সেরার পুরস্কার জেতেন নাহিদা। তার বোলিং গড় ছিল মাত্র ১৪।
এর মধ্যে সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে ৩০ রান খরচায় ৩ উইকেট নিয়েছিলেন বাঁহাতি এই স্পিনার। দ্বিতীয়টিতে ৪৩ রান দিয়ে নিয়েছিলেন এক উইকেট। তবে এটি সুপার ওভারে গড়ালে মাত্র ৭ রান দিয়ে ২ উইকেট নেন নাহিদা।
তৃতীয় ও শেষ ম্যাচে ২৬ রানে ৩ উইকেট শিকার ছিল বাঁহাতি এই স্পিনারের। এতে সিরিজ জয়ে বড় অবদান রেখেছিলেন তিনি।