নাসিম রুমি: বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের তিন ফরম্যাটের অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত এবং সাবেক অধিনায়ক হাবিবুল বাশার সুমন।
বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের তিন ফরম্যাটের অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তর সময়টা ভালো যাচ্ছে না। তার অধিনায়কত্ব নিয়ে তেমন কোনো প্রশ্নের জায়গা নেই, কিন্তু তার ব্যাট তো হাসছে না। একের পর এক সিরিজে শান্তর সঙ্গী হচ্ছে ব্যর্থতা। শান্তর ক্যাপ্টেন্সি কেড়ে নেওয়ার দাবিও উঠেছে, যার সঙ্গে একমত নন হাবিবুল বাশার সুমন।
সর্বশেষ মিরপুর টেস্টে দর্শকদের দুয়ো শুনতে হয়েছে শান্তকে। জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক তথা বর্তমান বিসিবি নারী উইংয়ের কর্মকর্তা হাবিবুল মনে করেন, অধিনায়কের ওপর যে চাপ সৃষ্টি করা হয়, সেটাও তাদের ফর্ম হারানোর কারণ। একজন অধিনায়ককে বিচার করতে হলে, তাকে অন্তত দুই বছর সময় দেওয়া উচিত বলে মনে করেন হাবিবুল বাশার।
গতকাল শুক্রবার সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে হাবিবুল বলেন, ‘শান্তকে পরিবর্তন তো করাই যায়। কিন্তু পরিবর্তনের আগে ভাবতে হবে, পরে যে আসবে তার সঙ্গেও আমরা এমন করব কিনা। তার সঙ্গেও যদি আমরা এমন করি, তাহলে তো দুই দিন পর ক্যাপ্টেন খুঁজে পাবেন না। কোনো দলের ক্ষতি করতে চাইলে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো সেই দলের অধিনায়কের পেছনে লাগা। ক্যাপ্টেন আনসেটলড হলে দলের সেটলড পারফর্মেন্স করা কঠিন। একজন অধিনায়ককে আমরা বিবেচনা করব দুই বছর পর।’
হাবিবুল আরও বলেন, ‘শান্তর অধিনায়কত্ব নিয়ে কারও দ্বিমত নেই। সে দারুণ অধিনায়ক। ব্যাটে রান আসছে না বলে এত কথা হচ্ছে আর দল পারফর্ম করছে না বলেই এত কথা হচ্ছে। এমন নয় যে, অন্যরা পারফর্ম করছে। অন্যরাও কিন্তু করছে না। এজন্যও শান্তর সমস্যা হচ্ছে। আমি ওকে ব্যাটিংয়ে স্বচ্ছন্দ দেখছি না। এটা একটু হলেও ওকে চাপে ফেলছে। তাকে বদলে আরেকজনকে এনে সেই চাপ সৃষ্টি করা হলে তখন কী হবে? শান্তকে সময় দেওয়া উচিত। তা না হলে কাজ করবে না।’