সবার মতো তিনিও মনে করেন, যেকোনো জয়ই মনে রাখার মতো। আর যেহেতু নিউজিল্যান্ডের মাটিতে এর আগে সাদা বলের জয় ছিল না, তাই এটা একটি দারুণ সাফল্য। সে দৃষ্টিকোণ থেকে চিন্তা করলে ২৩ ডিসেম্বর নেপিয়ারে টাইগারদের ৯ উইকেটের জয়টি এক ঐতিহাসিক সাফল্য। বাংলাদেশ দলের সাবেক অধিনায়ক ও নির্বাচক হাবিবুল বাশারের ভাষায়, এক দারুণ জয়।
ব্যবধানের বিশালতাই শুধু নয়, এ জয়ের অনেকগুলো বৈশিষ্ট দেখে খুব খুশি হাবিবুল বাশার। জাতীয় দলের এই নির্বাচক জাগো নিউজকে প্রতিক্রিয়ায় জানান, ‘নিউজিল্যান্ড সব সময়ই টাফ কন্ডিশন। নিউজিল্যান্ডের খোলা এলাকার মাঠ, আবহাওয়া ও উইকেট সবসময় উপমহাদেশের দলগুলোর জন্য প্রতিকূল। যে কারণে শুধু আমরাই নই, উপমহাদেশের অন্য দলগুলোও নিউজিল্যান্ডে গিয়ে তেমন সুবিধা করতে পারে না। আর আমরা আগে কখনো সাদা বলে জিততেই পারিনি। এবার জিতলাম। সেটা অবশ্যই এক অবিস্মরণীয় সাফল্য।’
হাবিবুল বাশারের অনুভব করেন, অনেক কারণেই আমাদের এ জয় দরকার ছিল।
এর আগে গত বছর জানুয়ারিতে মাউন্ট মুঙ্গানুইয়ে বাংলাদেশ যখন নিউজিল্যান্ডকে প্রথম টেস্টে হারায় (৮ উইকেটে) তখনো দলে ছিলেন না দুই সিনিয়র ও অভিজ্ঞ ক্রিকেটার তামিম ইকবাল আর সাকিব আল হাসান। দুজন অতি নির্ভরযোগ্য ও অন্যতম চালিকাশক্তি ছাড়া ২ বছরের ব্যবধানে লাল ও সাদা বলে একজোড়া ঐতিহাসিক সাফল্য; কী বার্তা বহন করে? এটি কিভাবে দেখছেন?
বাংলাদেশ দলের নির্বাচক আরও বলেন, ‘কিন্তু আসল সত্য হলো সাকিব ও তামিম সবসময় থাকবে না। তারা ছাড়াও আমাদের জিততে হবে। তরুণদের মাথায় সেই চিন্তাটা এসেছে। কেউ না থাকলে কোনো অজুহাত না দাঁড় করিয়ে জেতার চিন্তা মাথায় ঢুকেছে। কাউকে মিস করলেও এখন আর কোনো অজুহাত আসছে না। কেউ অজুহাত দাঁড় করাচ্ছে না। সবার মাঝে জেতার তাগিদ বেড়েছে। তারাই চেষ্টা করছে। জেতার ক্ষুধাটা ভালোই আছে। এই মানসিকতার এই পরিবর্তনটা আমাকে আকৃষ্ট করেছে।’