নাসিম রুমি: ভারতের ২১২ রানের জবাবে আফগানিস্তানও করল ২১২ রান। তাই খেলা গড়ায় সুপার ওভারে।
সেখানেও আলাদা করা গেল না তাদের। আফগানিস্তানের ১৬ রানের জবাবে ভারতও ৬ বলে ১৬ রানের বেশি করতে পারেনি।
নিয়ম অনুযায়ী, ম্যাচের ফল বের করতে আবারও যেতে হলো সুপার ওভারে। যেখানে এক বল বাকি থাকতেই ১১ রানে দুই উইকেট হারিয়ে ফেলে ভারত।
নাটকীয়তার এখানেই শেষ ছিল না।
১২ রানের লক্ষ্যে নেমে প্রথম ওভারেই মোহাম্মদ নবির উইকেট হারায় আফগানিস্তান।
রবি বিষ্ণোইর পরের বলে করিম জানাত সিঙ্গেল নিলেও তৃতীয় বলে লং অফ দিয়ে উড়িয়ে মারতে গিয়ে রিংকু সিংয়ের হাতে ধরা পড়েন রহমানউল্লাহ গুরবাজ। আফগানদের জয়ের স্বপ্নটাও তাতে আর আলোর মুখ দেখেনি। এতো লড়াইয়ের পর শেষ পর্যন্ত হারতেই হলো তাদের। ডাবল সুপার ওভারের নাটকীয় ম্যাচটি ১০ রানের জয়ে নিজের করে নিল ভারত। একইসঙ্গে আফগানিস্তান হলো ধবলধোলাইয়ের শিকার। আগের দুই ম্যাচ হেরে সিরিজ আগেই খুইয়েছে সফরকারীরা।
গতকাল রাতে বেঙ্গালুরুর চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে বড় লক্ষ্য তাড়ায় নেমে দারুণ জবাব দিতে থাকে আফগানিস্তান। উদ্বোধনী জুটি থেকেই আসে ৯৩ রান। রহমানউল্লাহ গুরবাজের পর অধিনায়ক ইব্রাহিম জাদরানও বিদায় নেন ব্যক্তিগত ৫০ রানে। চারে নামা আজমতউল্লাহ ওমরজাই ফেরেন তার প্রথম বলেই। ১৪ রানের ব্যবধানে ৩ উইকেট হারিয়ে কিছুটা চাপে পড়ে আফগানরা। কিন্তু মোহাম্মদ নবি ও গুলবাদিন নায়েবের ব্যাটে তা মুহূর্তেই দূর হয়ে যায়। নবি ১৬ বলে ২ চার ও ৩ ছক্কায় ৩৪ রানের ক্যামিও ইনিংস খেলে বিদায় নিলেও গুলবাদিন লড়ে যান শেষ পর্যন্ত।
শেষ ওভারে জয়ের জন্য ১৯ রান দরকার ছিল আফগানদের। মুকেশ শর্মার সেই ওভারের প্রত্যেক বল মোকাবেলা করে কেবল ১৮ রান এনে দিতে পারেন গুলবাদিন। ২৩ বলে ৪ চার ও ৪ ছক্কায় ৫৩ রানের ঝোড়ো ইনিংসে দলকে নিয়ে যান সুপার ওভারে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত বিফলেই গেল তার লড়াই।
এর আগে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নামার পর মাত্র ২২ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে বিপাকে পড়ে ভারত। কিন্তু সেখান থেকে আর পেছন ফেরে তাকাতে হয়নি। রিংকুকে সঙ্গে নিয়ে পঞ্চম উইকেটে অবিচ্ছিন্ন ১৯০ রানের রেকর্ড জুটি গড়েন রোহিত শর্মা। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে যা এই উইকেটে সর্বোচ্চ। এর মধ্যে করিম জানাতের করা শেষ ওভারেই তোলেন ৩৬ রান।
ক্যারিয়ারের পঞ্চম সেঞ্চুরি তুলে রোহিত নিজেও গড়েন আরেক রেকর্ড। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে তার চেয়ে বেশি সেঞ্চুরি নেই আর কোনো ব্যাটারের। ৬৯ বলে ১১ চার ও ৮ ছক্কায় ১২১ রানে অপরাজিত থাকেন বাঁহাতি এই ওপেনার। অপর প্রান্তে ৩৯ বলে ২ চার ও ৬ ছক্কায় ৬৯ রানে অপরাজিত থাকেন রিংকু। সুপার ওভারে তার হাত ধরেই ইতি ঘটল অবিশ্বাস্য এই ম্যাচের।