English

19 C
Dhaka
রবিবার, নভেম্বর ২৪, ২০২৪
- Advertisement -

ছয় মেরে জয় এনে দিলেন শান্ত

- Advertisements -

নাসিম রুমি: সিলেট স্টেডিয়ামে ১৬৬ রানের লক্ষ্য সহজেই করার মতো। সেই কাজটা আরও সহজ হয়ে যায় যখন দলের টপ অর্ডার ব্যাটসম্যানরা রান পান। সেটিই হয়েছে আজ। ছক্কা হাঁকিয়ে নিজের ফিফটির সঙ্গে লঙ্কানদের বিপক্ষে সিরিজ বাঁচানো ৮ উইকেটের জয় এনে দিয়েছেন অধিনায়ক শান্ত।

বিপিএলের শেষ দিকে এসে ব্যাটে রানের দেখা পেয়েছিলেন লিটন দাস। প্রথম ম্যাচে নিজেকে মেলে ধরতে না পারলেও এই ম্যাচে পারলেন। তার সঙ্গে পুরনো সৌম্য সরকারকেও দেখা গেল। দুজনে উদ্বোধনী জুটিতে দারুণ শুরু এনে দেন বাংলাদেশকে।

টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশ সবশেষ ৫০ রানের ওপেনিং জুটি দেখেছিল গত বছরের জুলাইয়ে আফগানিস্তানের বিপক্ষে। এতদিন বাদে আজ আবার ওপেনিংয়ে বড় জুটি এলো। ৬৮ রান আসে লিটন-সৌম্যের জুটিতে। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে চতুর্থবার ওপেনিং জুটিতে ৫০ রান তুলল বাংলাদেশ।

এর মাঝে এক পশলা উত্তেজনা ছড়িয়ে যায় সিলেটে। চতুর্থ ওভারের প্রথম বল করতে এসেই উইকেটের দেখা বিনুরা ফার্নান্দোর। শর্ট লেন্থের বল খেলতে গিয়ে কট বিহাউন্ড হলেন সৌম্য। তবে সৌম্যর কী ভেবে খটকা লাগায় নিলেন রিভিউ। রিভিউতে থার্ড আম্পায়ার রায় দিলেন সৌম্যর পক্ষে। সৌম্য বেঁচে গেলেও লঙ্কান ক্রিকেটাররা নাখোশ হয়ে ওঠেন। ঘিরে ধরেন আম্পায়ারকে। কিছু সময়ের উত্তেজনা পেরিয়ে ফের খেলা শুরু হয়।

রিভিউতে দেখা যায় বিনুরার প্রথম ডেলিভারিটি সৌম্যের ব্যাট পেরিয়ে যাবার পরের ফ্রেমে আল্ট্রা এজে স্পাইক ধরা পড়ে। কিন্তু যেহেতু বল ব্যাট পেরোবার সময়ে স্পাইক ছিল না, সুতরাং থার্ড আম্পায়ার মাঠের সিদ্ধান্ত বদলে নট আউট ঘোষণা করেন।

সৌম্য সরকার আউট হলে ভাঙে জুটি। মাথিশা পাথিরানার বলে ম্যাথিউসের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন সৌম্য। ৫ চারে ২২ বলে করেন ২৬ রান। এর পর শান্ত ক্রিজে এলেও হাল ধরে রেখেছিলেন লিটন। তিনিও ফেরেন পাথিরানার শিকার হয়ে। ১৫০ স্ট্রাইক রেটে ২৪ বলে ৫ চার ও ১ ছয়ে ৩৬ রান করেন লিটন। তিনি ফেরার সময়ে স্কোরবোর্ডে দলের রান ছিল ৮৩।

লিটন-সৌম্যকে দেখে জ্বলে ওঠেন শান্তও। পালন করেন দায়িত্বশীল ভূমিকা। তৃতীয় উইকেটে হৃদয়কে নিয়ে আরেকটি পঞ্চাশোর্ধ্ব জুটি গড়ে জয়ের কাছে নিয়ে যান তিনি। শেষ পর্যন্ত অবিচ্ছিন্ন জুটিটি দাঁড়ায় ৫৫ বলে ৮৭ রানের।

আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে গত বছরের ৯ মার্চ সবশেষ ফিফটির দেখা পেয়েছিলেন শান্ত। প্রায় এক বছর পর আবার পেলেন ফিফটি। চতুর্থ টি-টোয়েন্টি ফিফটি এটি শান্তর। ৪ চার ও ২ ছয়ে ৩৮ বলে করেন ৫৩ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি। হৃদয় অপরাজিত থাকেন ২ চার ও ১ ছয়ে ২৫ বলে ৩২ রান করে।

Notify of
guest
0 মন্তব্য
সবচেয়ে পুরাতন
সবচেয়ে নতুন Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments
Advertisements
সর্বশেষ
- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন