ভারতের ক্রিকেট ঈশ্বর বলা হয় ব্যাটিং কিংবদন্তি শচীন টেন্ডুলকারকে। কোটি কোটি ভারতীয় তাকে ঈশ্বরের মতোই শ্রদ্ধা করে। তবে গত মঙ্গলবার সন্ধ্যাবেলা ‘ঐক্যবদ্ধ ভারত’ বিষয়ে টুইট করে বিপদে পড়ে গেছেন শচীন টেন্ডুলকার। একই কারণে বিতর্কের শিকার হয়েছেন বিরাট কোহলি। কেউ কেউ রাগে শচীনের শেষ টেস্টের ছেঁড়া টিকিটের ছবি পোস্ট করে লিখেছেন, ‘আমি আগে শচীনের ভক্ত ছিলাম। আজ থেকে সব শ্রদ্ধা হারালাম।’
ভারতে দীর্ঘদিন ধরে চলছে কৃষক বিদ্রোহ। এর মাঝে টুইটারে শচীন টেন্ডুলকার লিখেছিলেন, ‘ভারতের সার্বভৌমত্ব নিয়ে আপস করা যায় না। বাইরের লোকজন দর্শক হতে পারে, তবে অংশ নিতে পারে না। ভারতীয়রা ভারতকে জানে এবং ভারতের পক্ষেই সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত। আসুন আমরা জাতি হিসাবে ঐক্যবদ্ধ থাকি’। শচীনের এই টুইটটি রিটুইট করেন সৌরভ গাঙ্গুলী। মনে করা হচ্ছে, কৃষকদের পক্ষে রিহানা, গ্রেটা থুনবার্গ, মিয়া খলিফারা সরব হতেই শচীনরা ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির পাশে দাঁড়িয়েছেন।
শচীনের টুইটে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন ভক্তরা। কেউ লিখছেন, ‘আপনি আগে কথা বললে রিহানাদের বলতে হতো না’। কেউ আবার নরেন্দ্র মোদীর ওয়াশিংটনের ঘটনার সম্পর্কের টুইট তুলে ধরে লিখেছেন, ‘এই সময়ে বাইরের লোক কথা বলেনি অন্য দেশের বিষয়ে’। কোনো ভক্ত আবার লিখেছেন, ‘বিজেপির হয়ে কথা বললে অর্জুন টেন্ডুলকার জাতীয় দলে সুযোগ পাবে কিনা?’ অনেক সোশ্যাল সাইট ব্যবহারকারী মনে করিয়ে দিয়েছেন যে, এই কৃষকদের অনেকেই তাঁর খেলা দেখতেন। তাঁর করা প্রতিটা রান তাদের মুখে হাসি এনে দিত। সেই কৃষকদের নিয়ে কথা না বলে নীরব দর্শক হয়ে থাকার জন্যও শচীনকে ব্যঙ্গ করেছেন অনেকে।
শচীনের উদ্দেশে এক সোশ্যাল সাইট ব্যবহারকারী লেখেন, ‘টুইট করার আগে ক্রিকেটের ভগবান ছিলেন, টুইট করার পর অম্বানির কুকুর’। শচীনকে শচীনই আউট করেছেন বলে মন্তব্য করেছেন এক সোশ্যাল সাইট ব্যবহারকারী। ২০০৩ সালে পাকিস্তানের বিপক্ষে শচীন ১৯৪ রানে ব্যাট করার সময় ডিক্লেয়ার ঘোষণা করেন রাহুল দ্রাবিড়। শচীনের এই টুইটের পর রাহুলের সেই সিদ্ধান্তকে সামনে এনে একজন লিখেছেন, ‘আজ মনে হচ্ছে, সেদিন রাহুল ঠিক করেছিল।’ বিদেশিরা যখন কৃষক আন্দোলন নিয়ে কথা বলেছেন, কারণ শচীনরা সেই সময় চুপ ছিলেন। আর এখন তারা সরকারের পক্ষ নিয়েছেন।