নাসিম রুমি: ২০২৩ সালে এসে মিশ্র এক বছর পার করেছে বাংলাদেশ। টাইগার ক্রিকেটে বিশ্বকাপ ব্যর্থতা যেমন বড় হয়ে ধরা দিয়েছে, তেমনি এই বছরে টেস্ট আর টি-টোয়েন্টিতে টাইগার ক্রিকেটাররা দেখিয়েছে নিজেদের পরিপক্বতা। টেস্ট আর টি-টোয়েন্টিতে অপেক্ষাকৃত দূর্বল দল হলেও চলতি বছর এই দুই ফরম্যাটেই বাজিমাত করেছে বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা। আর ওয়ানডেতে অপেক্ষাকৃত শক্তিশালী হলেও পুরো বছরই এই ফরম্যাটে ছিল হতাশা।
২০২৩ সালে ওয়ানডে এবং টেস্ট দুই ফরম্যাটে বাংলাদেশের পক্ষে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক ছিলেন নাজমুল হোসেন শান্ত। ২০২২ সালের ব্যর্থতা ভুলে এই বছরটা দুর্দান্তভাবে শেষ করেছেন এই বাঁ-হাতি। টি-টোয়েন্টিতে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক ছিলেন শান্ত। টেস্টে ৪ ম্যাচে ৫৫ গড়ে তিন সেঞ্চুরিতে ৪৪০ রান করেছেন তিনি।
অল্পের জন্য এ বছর ওয়ানডে ১হাজার রানের মাইলফলক স্পর্শ করতে পারেননি। ২৭ ম্যাচে ২টি সেঞ্চুরি এবং ৮টি হাফ সেঞ্চুরিতে ৯৯২ রান করা শান্ত। যদিও বিশ্বকাপটা খুব একটা ভালো কাটেনি তার। সেই আক্ষেপটা বাদ দিলে বছরে বাংলাদেশ ক্রিকেটেরই সবচেয়ে বড় নাম শান্ত।
ওয়ানডে ও টেস্ট মিলিয়ে শান্তর পর রান সংগ্রহের দিক দিয়ে দ্বিতীয়স্থানে আছেন মুশফিকুর রহিম। অভিজ্ঞ এই ব্যাটার টেস্টে করেছেন ৩৫৫ রান। আর ওয়ানডেতে ২৬ ম্যাচে প্রায় ৩৭ গড়ে করেছেন ৮৪৬ রান। ওয়ানডেতে আবার তৃতীয় সর্বোচ্চ রান সাকিবের। ২২ ম্যাচে ৩৫ গড়ে তার রান ৭৩৫।
৯ ম্যাচে ৩২৪ রান নিয়ে টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক ছিলেন লিটন দাস। ৯ ম্যাচে রনি তালুকদার করেছেন ২০৩ রান এবং ১০ ম্যাচে শান্তর রান ২১৮।
বোলিংয়ে দেশের সেরা ছিলেন তাসকিন আহমেদ। তিন ফরম্যাট মিলিয়ে পেয়েছেন ৪৬ উইকেট। একটিমাত্র টেস্টে পেয়েছেন ৪ উইকেট। ওয়ানডেতে পেয়েছেন ২৬ উইকেট আর টোয়েন্টিতে পেয়েছেন ১৬ উইকেট। টি-টোয়েন্টিতে তিনিই সর্বোচ্চ উইকেট শিকারী। তার পেছনে আছেন সাকিব আল হাসান। পেয়েছেন ১২ উইকেট। তিন থাকা শরীফুলের উইকেট ৮টি।
অন্যদিকে ওয়ানডেতে সেরার তকমা গিয়েছে শরীফুলের কাছে। ৩২ উইকেট নিয়ে তাসকিনকে ছাড়িয়ে গিয়েছেন এই পেসার। খেলেছেন ১৯ ম্যাচ। প্রতি উইকেটে পেতে খরচ করেছেন ২৫ এর কম রান। তিনে আছেন সাকিব আল হাসান। ২০ ইনিংসে ৩৫ এর বেশি গড়ে পেয়েছেন ২৩ উইকেট।
টেস্টে সবচেয়ে বেশি উইকেট স্পিনার তাইজুল ইসলামের। চার টেস্টে তার উইকেট সংখ্যা ২৬। তারচেয়ে অনেকটাই পিছিয়ে আছেন মেহেদী হাসান মিরাজ। নিয়েছেন ১৩ উইকেট। আর তিনে থাকা শরীফুল পেয়েছেন ৮ উইকেট।