এবারের এশিয়া কাপটি মোটেও ভালো কাটেনি সাতবারের চ্যাম্পিয়ন ভারতীয় ক্রিকেট দলের। শ্রীলঙ্কা ও পাকিস্তানের কাছে হেরে ফাইনালের আগেই বাদ পড়ে গেছে রোহিত শর্মার দল। তবে ব্যক্তিগতভাবে দারুণ ফর্মে ছিলেন দলের সাবেক অধিনায়ক ও সময় অন্যতম সেরা ব্যাটার বিরাট কোহলি।
দুই ফিফটির সঙ্গে এক সেঞ্চুরিতে পুরো আসরে ২৭৬ রান করেছেন কোহলি। তার চেয়ে বেশি রান করতে পেরেছেন এক ম্যাচ বেশি খেলা মোহাম্মদ রিজওয়ান (২৮১)। নিজেদের শেষ ম্যাচে আফগানিস্তানের বিপক্ষে ৬১ বলে ১২২ রানের অতিমানবীয় ইনিংস খেলেছেন কোহলি।
যার সুবাদে ঘুচেছে কোহলির প্রায় তিন বছরের অপেক্ষা। ২০১৯ সালের নভেম্বরের পর এটিই ছিল কোহলির প্রথম সেঞ্চুরি। এই সেঞ্চুরির সুবাদে ক্রিকেট ইতিহাসে সর্বোচ্চ সেঞ্চুরির তালিকায় অস্ট্রেলিয়ান কিংবদন্তি রিকি পন্টিংয়ের পাশে বসেছেন কোহলি। দুজনেরই সেঞ্চুরি সমান ৭১টি।
কোহলির সামনে এখন শুধুই স্বদেশি কিংবদন্তি শচিন টেন্ডুলকার। যিনি অবসর নেওয়ার আগে করেছেন ১০০টি সেঞ্চুরি! বছর তিনেক আগেও বলাবলি হতো, শচিনের ১০০ সেঞ্চুরি ছাড়িয়ে যাবেন কোহলি। কিন্তু মাঝে সেঞ্চুরিখরায় পড়ে যাওয়ায় এখন আর এ আলোচনার পালে তেমন হাওয়া দিতে দেখা যায় না।
তবে অসি কিংবদন্তি পন্টিং ঠিকই আশাবাদী, এখনও শচিনকে ছাড়িয়ে যেতে পারেন কোহলি। মূলত কোহলির অতীত ইতিহাস ও ধারাবাহিকতার দুর্দান্ত নজিরের কারণেই এমন আশা পন্টিংয়ের। তবে তিনিও বলেছেন, বছর তিনেক আগে এই সম্ভাবনা অনেক বেশি ছিল।
পন্টিং বলেছেন, ‘আমাকে তিন বছর আগে জিজ্ঞেস করা হলে বলতাম, হ্যাঁ অবশ্যই (শচিনকে ছাড়িয়ে যেতে পারবে)। তবে সত্যি কথা বলতে, তার সেঞ্চুরি আসার গতি মন্থর হয়ে গেছে। আমি অবশ্য এখনও বিশ্বাস করি, (শচিনকে ছাড়িয়ে যাওয়া) তার পক্ষে সম্ভব, কোনো সন্দেহ নেই।’
তিনি আরও যোগ করেন, ‘আমি মনে করি এখনও তার কয়েক বছরের ক্যারিয়ার বাকি রয়েছে। তবে ৩০টি আন্তর্জাতিক সেঞ্চুরি অনেক বড় ব্যাপারে। এজন্য আগামী ৩-৪ বছরে টেস্টে ৫-৬টি করে সেঞ্চুরি করতে হবে। সঙ্গে ওয়ানডে থেকেও কয়েকটি এবং টি-টোয়েন্টি এলে তা বোনাস।’