অন্য দশজন ক্রিকেটারের যেমন স্বপ্ন থাকে, তাসকিন আহমেদও পুষছেন ঠিক তেমনই। নিজেকে ভেঙেছেন, নতুন রূপে গড়েছেন। কখনও চোখের জলে ক্যারিয়ারের পথ পিচ্ছিল করেছেন। তবুও থেমে যাননি। তাসকিন সেসবের পুরস্কারও পাচ্ছেন।
মিরপুরে বৃহস্পতিবার দুর্বার রাজশাহীর হয়ে তাসকিন গড়েছেন বিপিএলের সেরা বোলারের রেকর্ড। তার আগে ১১ বিপিএলের ইতিহাসে কেউ এক ম্যাচে সাত উইকেট পাননি। তাসকিন পেছনে ফেলেছেন পাকিস্তারেন মোহাম্মদ আমিরকে (১৭ রানে ৬ উইকেট)। তবে বিশ্বের সেরা হতে পারেননি। যৌথভাবে হয়েছেন স্বীকৃত কোনো টি-টোয়েন্টি ম্যাচের সর্বোচ্চ উইকেট শিকারী। এমন দিনে সাংবাদিকদের সামনে অকপটে বলেছেন, ‘আমার স্বপ্ন লেজেন্ডারি ফাস্ট বোলার হয়ে ক্যারিয়ার শেষ করা।’
ঢাকার বিপক্ষে গতিতে ঝড় তুলে ১৯ রানে তাসকিন নিয়েছেন ৭ উইকেট। ইনিংসের শুরুর পর শেষটাও টেনেছেন তাসকিনই। ইনসুইং, বাউন্সার আর গতিতে ভুগিয়েছেন ঢাকার ব্যাটারদের। দুর্বার রাজশাহীর পেসার জাগিয়েছিলেন হ্যাটট্রিকের সম্ভাবনাও। বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের সেরা বোলার হওয়ারও কীর্তি গড়ার পর ম্যাচটি তাসকিন তার ছেলে তাসফিনকে উৎসর্গ করেছেন।
ঢাকাকে হারিয়ে তাসকিন বলেছেন, ‘দিনশেষে যখন ভালো করি বা উইকেট পাই আমার ছেলে আমার বাবা— এরা অনেক খুশি হয়। ওদের সমর্থনও অনুপ্রেরণা দেয়। যেদিন বোলিং ভালো করতে পারি না, সেদিন তাসফিন (ছেলে) অনেক মন খারাপ করে। আজকে আমি শিওর ও অনেক খুশি। তো এটা তাসফিনের জন্যই।’
নিজের বোলিং স্পেল ইতিহাসে স্থান পাওয়ার পরই নিজের স্বপ্নের কথা বলেছেন তাসকিন, ‘আল্লাহর কাছে শুকরিয়া যে আমরা ফাস্ট বোলাররা উন্নতি করতেছি। অনেকেই রেকর্ড গড়ছে দেশে বা বাইরে। এটা খুবই ভালো লক্ষণ। আমাদের যে উন্নতির ধারাবাহিকতা আছে সেটা বোঝা যাচ্ছে। আমার স্বপ্ন কিংবদন্তি ফাস্ট বোলার হয়ে ক্যারিয়ার শেষ করা। যাতে অনেক উইকেট পাই এবং অনেক কন্ট্রিবিউশন থাকে দেশকে জেতানোর পেছনে, আমারও এটাই লক্ষ্য থাকে।’