ক্রিকেট বিশ্বকে কাঁদিয়ে শুক্রবার না ফেরার দেশে চলে গেলেন অস্ট্রেলিয়ার কিংবদন্তি লেগস্পিনার শেন ওয়ার্ন। হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে ৫২ বছর বয়সে তার মৃত্যু হয়।
থাইল্যান্ডের কোহ সামুইয়ে নিজের ভিলায় ওয়ার্নকে নিস্তেজ অবস্থায় পাওয়া যায়। চিকিৎসকদের সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা সত্ত্বেও তাকে বাঁচানো যায়নি। যদিও স্থানীয় পুলিশ জানিয়েছে, মৃত্যুর আগে ভিলায় থাকা তার বন্ধুরা তাকে ২০ মিনিট সিপিআর (হৃদরোগের প্রাথমিক চিকিৎসা) দিয়ে বাঁচানোর আপ্রাণ চেষ্টা করেন।
পুলিশ জানায়, ভিলায় শেন ওয়ার্ন ৪জন বন্ধুসহ থাকতেন। তবে এদের মধ্যে একজন যখন বিকেল ৫টার দিকে তাকে খাবার খেতে জাগাতে যান, তখন তিনি লক্ষ্য করেন বিশ্বকাপজয়ী এই তারকা কোনো সাড়া দিচ্ছেন না।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ডেইলি মেইল জানায়, ওয়ার্নের ম্যানেজার অ্যান্ড্রু নিওফিটু তাকে ২০ মিনিটের মতো সিপিআর দিতে থাকেন। পরে অ্যাম্বুলেন্স এলে এই কিংবদন্তিকে থাই ইন্টারন্যাশনাল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তবে সেখানেই তাকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়।
পুলিশের সিনিয়র সার্জেন্ট মেজর সুপরন হেমরুয়ানগেসরে এ বিষয়ে বলেন, ‘থাই ইন্টারন্যাশনাল হাসপাতালে পুলিশ একজনের মৃত্যুর খবর পায়। পরে আমরা সেখানে যোগাযোগ করি আর জানতে পারি মৃত ব্যক্তি ৪জন বন্ধুসহ ছিলেন এবং তিনি ঘরেই মারা যান। ’
তিনি আরও বলেন, ‘সেই ভিলাতে সবাই আলাদা ঘরে ঘুমাচ্ছিলেন। তারা দুপুর থেকে সন্ধ্যা অবধি ঘুমিয়েছেন, যা ৫টা পর্যন্ত ছিল। ৫টার দিকে কেউ একজন রাতের খাবারের জন্য তাকে ডাকতে আসেন। তবে লক্ষ্য করেন তার কোনো সাড়া নেই। পরে সেই ব্যক্তি অন্য ৩জনকে ডাকেন ও ২০ মিনিট পর্যন্ত সিপিআর দেন। তারা অ্যাম্বুলেন্সের জন্য অপেক্ষা করছিলেন। ’
‘ডাক্তার ৬টা ৫৩ মিনিটে তার মৃত্যু ঘোষণা করেন। পুলিশ তদন্তের জন্য তাদেদর ঘরে যায় ও কোনো বহিরাগতদের খোঁজ পায়নি। পরে কোহ সামুই হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য তার মরদেহ পাঠানো হয়। ’