টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সুপার টুয়েলভে গ্রুপসেরা হয়েই সেমিফাইনালে উঠেছিল ভারত। কিন্তু ফাইনালে উঠার লড়াইয়ে ইংল্যান্ডের কাছে পাত্তাই পায়নি রোহিতরা।
বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে যাওয়ার পরে নিজের আবেগ ধরে রাখতে পারলেন না রোহিত শর্মা। কেঁদে ফেললেন ভারত অধিনায়ক। তাকে সান্ত্বনা দিলেন দলের কোচ রাহুল দ্রাবিড়। কিন্তু তার পরেও নিজেকে আটকাতে পারছিলেন না রোহিত। মাথা নিচু করে ডাগআউটে বসে থাকতে দেখা গেলো তাকে।
বৃহস্পতিবার অ্যাডিলেড ওভালে দ্বিতীয় সেমিফাইনাল খেলা শেষ হওয়ার পরে দেখা যায় ডাগআউটে চুপচাপ বসে ছিলেন রোহিত। তার চোখে পানি। রোহিতের সামনে বসেছিলেন ঋষভ পান্থ। তিনি রোহিতের সঙ্গে কথা বলছিলেন। তাতেও শান্ত হননি রোহিত। তাকে দেখে বোঝা যাচ্ছিল, কতটা হতাশ ও ক্ষুব্ধ তিনি। হার মেনে নিতে পারছিলেন না। রোহিতকে বসে থাকতে দেখে তার কাছে আসেন দ্রাবিড়। রোহিতের পিঠে হাত রাখেন ভারতের কোচ। তাকে সান্ত্বনা দেন। বেশ কিছুক্ষণ দ্রাবিড়ের সঙ্গে কথা বলেন রোহিত। তার পরে কিছুটা শান্ত হন তিনি। কিন্তু ক্যামেরা তার দিকে ধরলেই দেখা যাচ্ছিল, রোহিতের চোখ চিকচিক করছে। হারের হতাশা বার বার ধরা পড়ছিল রোহিতের চোখেমুখে।
এর আগে গ্রুপ পর্বের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে বাংলাদেশের বিপক্ষে মাঠে নেমেছিল ভারত। ওই ম্যাচে তারা দারুণ লড়াইয়ের পর জয় পায় ৫ রানে।
ইংল্যান্ডের কাছে হেরে বাংলাদেশ ম্যাচের প্রসঙ্গ টেনেছেন ভারতের অধিনায়ক রোহিত শর্মা।
তিনি বলেছেন, ‘যদি আমরা আঁটসাঁট বোলিং করতে পারতাম আর ব্যাটাররা রান করতো, তাহলে মেনে নিতাম। কিন্তু আমরা আজকে সেটা করতে পারিনি। বাংলাদেশের বিপক্ষে ম্যাচও কঠিন ছিল কিন্তু আমার মনে হয় সেদিন নিজেদের নার্ভ ধরে রেখেছিলাম, ভালোভাবে প্রয়োগ করতে পেরেছি।’
‘এটা খুব হতাশাজনক আমরা আজ যেমন করেছি। আমার মনে হয় এরপরও শেষদিকে ভালো ব্যাট করেছি ওই সংগ্রহটা গড়তে। কিন্তু বল হাতে আমরা যথেষ্ট ভালো ছিলাম না। এটা এমনও উইকেট না যে কোনো দল ১৬ ওভারে এই রান তাড়া করে ফেলবে। বল হাতে আমরা পারিনি আজ।’
‘নক আউট পর্বের সবকিছুই হচ্ছে চাপ সামলাতে পারা। ব্যক্তির ওপরও অনেক কিছু নির্ভর করে। আপনি কাউকে চাপ সামলানো শেখাতে পারবেন না। এই ছেলেরা আইপিএলের প্লে-অফ খেলে, ওগুলো অনেক চাপের ম্যাচ, তারা সামলায়। আমরা বল হাতে যেভাবে শুরু করেছি, আদর্শ না। আমরা কিছুটা নার্ভাস ছিলাম, তবে আপনাকে ইংল্যান্ডের দুই ব্যাটারকেও কৃতিত্ব দিতে হবে,’- বলেন রোহিত।