নাসিম রুমি: অধিনায়কের বাহুবন্ধনী খুলে রেখেছেন বেশ কিছুদিন। কেমন অধিনায়ক ছিলেন বিরাট কোহলি? অধিনায়কত্ব ছাড়ার পর থেকেই এই আলোচনাটা ছিল। সে তর্কে অধিনায়ক কোহলি সম্ভবত খুব বেশি ভোট পক্ষে পাননি। কারণটা কারও অজানা নয়—ভারতকে অধিনায়ক কোহলি আইসিসির কোনো ট্রফি এনে দিতে পারেননি।
আইসিসির ট্রফির হিসাব বাদ দিলে অবশ্য কোহলিকে সফল অধিনায়কই বলতে হবে। সংখ্যা অন্তত সে কথাই বলছে। সাদা পোশাকে তাঁর নেতৃত্বে খেলা ৬৮ ম্যাচের ৪০টিতেই জিতেছে ভারত। টেস্টে ভারতীয় অধিনায়কদের মধ্যে এটাই সর্বোচ্চ জয়।
মহেন্দ্র সিং ধোনির নেতৃত্বে ভারত ৬০টি টেস্ট খেলে জিতেছে ২৭টিতে আর সৌরভ গাঙ্গুলীর নেতৃত্বে ভারত ৪৯ টেস্টের মধ্যে জিতেছে ২১টি। সাদা বলের ক্রিকেটেও সংখ্যার বিচারে সফল কোহলি। ওয়ানডেতে তাঁর অধীনে খেলা ৯৫ ওয়ানডের মধ্যে ভারত জিতেছে ৬৫টি।
আর টি–টোয়েন্টিতে ৫০ ম্যাচে জয় ৩০টি। সংখ্যার বাইরেও অধিনায়ক কোহলির প্রভাব আছে। তাঁর অধীনেই টেস্ট র্যাঙ্কিংয়ে ৪২ মাস ধরে এক নম্বর দল থাকা, ঘর ও ঘরের বাইরে দাপট দেখানো শুরু করে ভারত। সঙ্গে তাঁর সময়েই দারুণ এক পেস আক্রমণ গড়ে ওঠে ভারতের।
এত কিছুর পরও আলোচনা কোহলির পক্ষে ওই একটা কারণেই যায় না। কোহলি অবশ্য নিজেকে ট্রফি দিয়ে বিচার করতে চান না। তিনি নিজেকে বিচার করেন দলে যে সংস্কৃতি তৈরি করেছেন তা দিয়ে, ‘২০২১ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আমরা জিততে পারিনি।
২০১৭ চ্যাম্পিয়নস ট্রফির ফাইনালে উঠেছি, ২০১৯ বিশ্বকাপে সেমিফাইনাল ও টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে খেলেছি। এরপরও লোকে আমাকে ব্যর্থ অধিনায়ক বলে। দেখুন, আমি কখনোই নিজেকে ট্রফি দিয়ে বিচার করি না।’