পুলিশ হত্যা মামলার আসামি আরাভ খানের জুয়েলার্সের উদ্বোধনী আয়োজনে উপস্থিত থাকলেও মঞ্চে ওঠেননি তারকা ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান।
উদ্বোধনী আয়োজনে পরিচালক, উপস্থাপক দেবাশীষ বিশ্বাস, ইউটিউবার আলমসহ ঢাকার বেশ কয়েকজন তরুণ শিল্পী অংশ নিয়েছেন। তবে সাকিব আল হাসান উদ্বোধন করলেও মঞ্চে ওঠেননি।
এদিকে অনেক প্রতিকূলতার মধ্য দিয়েও সাকিব আল হাসান স্বর্ণের দোকান উদ্বোধনে যাওয়ায় তার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন দুবাইয়ের আলোচিত স্বর্ণ ব্যবসায়ী আরাভ খান।
বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার দিকে আরাভ খান তার ফেসবুক লাইভে এসে তার প্রতি এ কৃতজ্ঞতা জানান।
তিনি বলেন, অনেক প্রতিকূলতার মধ্য দিয়েও সাকিব আল হাসান ভাই আমার স্বর্ণের দোকান উদ্বোধন করেছেন। এ জন্য আমি সাকিব আল হাসান ভাইয়ের কাছে কৃতজ্ঞ।
পাশাপাশি তিনি ফেসবুকে সাকিব আল হাসানের সঙ্গে নিজের বাসায় বসা একটি ছবি পোস্ট দিয়ে লেখেন, এত নিউজের পরেও সাকিব আল হাসান আপনি আমার বাসায় এসেছেন। আপনি আসলেই খুব মহান, আল্লাহ তাআলা আপনাকে ভাল রাখুক সেই দোয়া করি।
গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলার হিরণ ইউনিয়নের আশুতিয়া গ্রামের আরাভ খানের প্রকৃত নাম সোহাগ মোল্লা বলে জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
সোহাগ মোল্লা আশুতিয়া গ্রামের দিনমজুর মতিয়ার রহমান মোল্লার ছেলে। মতিয়ার রহমান মোল্লা একসময় বাগেরহাট জেলার চিতলমারী উপজেলায় ফেরি করে সিলভারের হাঁড়িপাতিল বিক্রি করতেন। এখানেই ১৯৮৮ সালে সোহাগ মোল্লার জন্ম হয়। ২০০৫ সালে চিতলমারী সদরের একটি বিদ্যালয় থেকে সোহাগ মোল্লা এসএসসি পাশ করে। দারিদ্র্যতার কারণে এর পরে আর তার লেখাপড়া হয়নি। চিতলমারী থেকে ২০০৮ সালে ভাগ্যের অন্বেষণে তিনি ঢাকা চলে যান।
ঢাকায় পুলিশ হত্যাসহ বিভিন্ন অপরাধ কর্মকাণ্ডের দায়ে ঢাকার বিভিন্ন থানায় তার বিরুদ্ধে প্রায় ডজনখানেক মামলা হয়। এর পর পুলিশের হাত থেকে বাঁচতে আরাভ খান ভারত হয়ে চলে যান দুবাইয়ে।