English

17 C
Dhaka
মঙ্গলবার, ডিসেম্বর ২৪, ২০২৪
- Advertisement -

উইজডেনের ‘লিডিং ক্রিকেটার’ বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক কামিন্স

- Advertisements -

২০২৩ সালে অস্ট্রেলিয়াকে দুবার বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন করেছেন প্যাট কামিন্স। গত বছরের জুনে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে ভারতকে হারিয়ে শিরোপা জয়ের পর ওয়ানডে বিশ্বকাপেও সেই ভারতকে উড়িয়ে চ্যাম্পিয়ন হয় অস্ট্রেলিয়া। এই দুবারই অজিদের ট্রফির স্বাদ পাইয়ে দেওয়া অধিনায়ক ছিলেন কামিন্স।

দুটি টুর্নামেন্টেই অধিনায়ক হিসেবে দলকে সাফল্য এনে দেওয়ার পাশাপাশি কামিন্স ব্যাট ও বল হাতেও ছিলেন দুর্দান্ত। এরই পুরস্কার হিসেবে ক্রিকেটের বাইবেলখ্যাত উইজডেনের চোখে ২০২৩ সালের সেরা পুরুষ ক্রিকেটার নির্বাচিত হয়েছেন কামিন্স। এই স্বীকৃতির আনুষ্ঠানিক নাম উইজডেন’স লিডিং ক্রিকেটার ইন দ্য ওয়ার্ল্ড।

দীর্ঘ ১১ বছর পর অস্ট্রেলীয় কোনো ক্রিকেটার এই স্বীকৃতি পেলেন। এর আগে সর্বশেষ ২০১২ সালে অস্ট্রেলীয় পুরুষ খেলোয়াড় হিসেবে লিডিং ক্রিকেটার হয়েছিলেন দলটির সাবেক অধিনায়ক মাইকেল ক্লার্ক। কামিন্সের আগে টানা চার বছর স্বীকৃতিটা পেয়েছিলেন ইংলিশ ক্রিকেটাররা। ২০২২ সালসহ যেখানে তিনবারই বর্ষসেরা হয়েছিলেন বেন স্টোকস।

এদিকে কামিন্স গত বছর ইংল্যান্ডে হওয়া অ্যাশেজেও নেতৃত্ব দিয়েছেন অস্ট্রেলিয়াকে। রোমাঞ্চকর সেই সিরিজ ২-২–এ ড্র করে মর্যাদার ‘ছাইদানি’ ধরে রাখে অস্ট্রেলিয়া।

কামিন্সকে কেন বর্ষসেরার সম্মান দেওয়া হয়েছে, সেটি ব্যাখ্যা করেছেন উইজডেনের সম্পাদক লরেন্স বুথ, ‘বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে অস্ট্রেলিয়ার সাফল্যে নেতৃত্ব দেওয়ার পর প্যাট কামিন্স অ্যাশেজ ধরে রেখেছেন। এজবাস্টনে প্রথম টেস্টের শেষ দিকে নেমে ব্যাট হাতে অবদান রেখেছেন কামিন্স। এরপর ভারতে বিশ্বকাপ ফাইনাল জয়ে নেতৃত্ব দিয়েছেন। ২০২৩ সালে আর কোনো সিমার তার ৪২ উইকেটের চেয়ে বেশি পাননি।’

ইংল্যান্ডের ন্যাট সিভার-ব্রান্ট মেয়েদের লিডিং ক্রিকেটার ইন দ্য ওয়ার্ল্ড হয়েছেন। ইংলিশ অলরাউন্ডারের বর্ষসেরা হতে বড় ভূমিকা রেখেছে মেয়েদের অ্যাশেজে তার পারফরম্যান্স। ওয়ানডে সংস্করণে টানা দুই ম্যাচে সেঞ্চুরি করেছেন সিভার-ব্রান্ট। এরপর শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ৬৬ বলে তিন অঙ্ক ছুঁয়েছিলেন এক ম্যাচে।

এছাড়া উইজডেন ‘ফাইভ ক্রিকেটার্স অব দ্য ইয়ার্স’ও ঘোষণা করেছে। যেখানে অ্যাশেজের কারণে ইংল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেটারদেরই প্রাধান্য। ফাইভ ক্রিকেটার্স অব দ্য ইয়ার্সের সম্মান একজন ক্রিকেটার জীবনে একবারই পান। আর সেটি দেওয়া হয় ইংল্যান্ডের গ্রীষ্মে পারফরম্যান্সের ওপর ভিত্তি করে নারী-পুরুষ মিলিয়েই। এবার সেরা পাঁচ ক্রিকেটার হয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার মিচেল স্টার্ক, উসমান খাজা, অ্যাশ গার্ডনার এবং ইংল্যান্ডের হ্যারি ব্রুক ও মার্ক উড।

টেস্ট ক্রিকেটে অসাধারণ ব্যক্তিগত পারফরম্যান্সের কারণে উইজডেন ট্রফি জিতেছেন অস্ট্রেলিয়ার ট্রাভিস হেড। বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে ১৬৩ রানে করার জন্য এই পুরস্কার জিতেছেন হেড। ওয়েস্ট ইন্ডিজের নারী ক্রিকেটার হেইলি ম্যাথুস হয়েছেন লিডিং টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটার।

Notify of
guest
0 মন্তব্য
সবচেয়ে পুরাতন
সবচেয়ে নতুন Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments
Advertisements
সর্বশেষ
- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন