নাসিম রুমি: গতকাল রাতটা নিজের কর নিলেন তাওহীদ হৃদয়। রাঙালেন নিজ আলোয়। চার-ছক্কার বাহারে পৌঁছালেন তিন অংকের দুয়ারে। ষষ্ঠ বাংলাদেশী হিসেবে বিপিএলে তুলে নিলেন শতক। এবারের আসরে যা প্রথম। মাত্র ৫৩ বলে হৃদয় পৌঁছান তিন অংকের ঘরে। শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থাকেন ৫৭ বলে ১০৮ রানে। ধুঁকতে থাকা কুমিল্লাকেও পৌঁছিয়েছেন জয়ের বন্দরে।
মিরপুরে ঢাকার ১৭৬ রানের বড় লক্ষ্য তাড়ায় মাত্র ২৩ রানে ৩ উইকেট হারায় কুমিল্লা। যখন মনে হচ্ছিল হয়তো জয়ের পথ থেকে পা ফসকেছে দলটার, তখনই হৃদয় জ্বলে উঠেন আপন মহিমায়। ৮ চার আর ৭ ছক্কার ইনিংসে দলের জয় নিশ্চিত করেন ১ বল আর ৪ উইকেট হাতে রেখে। বিপরীতে টানা সাত হারের রেকর্ড গড়লো ঢাকা।
বিপিএলে এর আগেও শতক দেখেছে ২৯টি। যেখানে মোটে পাঁচটি ছিল বাংলাদেশীদের। আজ ক্যারিয়ার সেরা এই শতকে সেই তালিকায় নাম লেখালেন হৃদয়। শাহরিয়ার নাফিস, মোহাম্মদ আশরাফুল, সাব্বির রহমান, তামিম ইকবাল ও নাজমুল হোসেন শান্তদের সাথে বসে গেলেন তিনিও ইতিহাসের পাতায়।
এদিন একদম শুরু থেকেই আগ্রাসী ছিলেন হৃদয়। অপরপ্রান্তে যখন উইকেট পড়ছে হরদম, তখন হৃদয় মন দিয়েছিলেন চার-ছক্কায়। দ্বিতীয় ওভারে তাসকিন আহমেদকে দিয়ে যার শুরু, এরপর প্রতি ওভারেই আদায় করে নিয়েছেন বড় রান। ব্রুক গেস্টের সাথে গড়েন ৮৪ রানের জুটি। যেখানে গেস্ট করেন ৩৫ বলে ৩৪।
দলের বাকিদের সম্মিলিত সংগ্রহ যেখানে ৬৫, সেখানে ১০৮ রান তাওহীদ হৃদয়ের। ফলে বুঝার বাকি থাকে না কুমিল্লার জয়ে কতো বড় ভূমিকা তার।
শতক করার পথে বিশেষ করে সাইফ হাসানের ১৫তম ওভারে স্কোরবোর্ডে জমা করেন ২০ রান। ছাড় দেননি শরিফুল-তাসকিনকেও। পুরো ম্যাচে দারুণ বল করা শরিফুলের ১৮তম ওভারে নেন ১৫ রান। বিপরীতে তাসকিনের ৪ ওভারে আসে ৪৫।