English

24 C
Dhaka
শুক্রবার, নভেম্বর ২২, ২০২৪
- Advertisement -

ইংল্যান্ডের বিশ্বকাপ জয়

- Advertisements -

মেলবোর্নে ফিরল না ৯২ বিশ্বকাপের স্মৃতি। ইমরান খান হতে পারলেন না বাবর আজম। ফাইনালের রোমাঞ্চকর লড়াইয়ে পাকিস্তানকে ৫ উইকেটে উড়িয়ে দিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো টি-টোয়েন্টি বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হয়ে গেল ইংল্যান্ড। ২০১০ সালে তারা প্রথমবার এই ফরম্যাটে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হয়েছিল।

স্বল্প পুঁজি নিয়েও পাকিস্তানি বোলাররা দারুণ বল করছিলেন। তবে ইংল্যান্ডকে আটকাতে ১৩৭ রান যথেষ্ট ছিল না। অন্যদিকে ২০১৯ ওয়ানডে বিশ্বকাপের পর ইংল্যান্ডের আরও একটি বিশ্বকাপ জয়ে বড় অবদান রাখলেন বেন স্টোকস।
আজ রবিবার রান তাড়ায় নেমে দলীয় ৭ রানেই সেমিফাইনালে বিধ্বংসী ইনিংস খেলা অ্যালেক্স হেলসকে হারায় ইংল্যান্ড। প্রথম ওভারেই শাহিন আফ্রিদির বলে বোল্ড হয়ে যান হেলস (১)। চতুর্থ ওভারে ফিল সল্টকে (৯) ইফতিখারের তালুবন্দি করেন হারিস রউফ। ইংল্যান্ডের রান তখন ৩২। উইকেটে আসেন বেন স্টোকস। পাকিস্তানের তিন পেসার শাহিন-হারিস আর নাসিম দুর্দান্ত বোলিং করছিলেন। ৬ষ্ঠ ওভারে ইংল্যান্ডকে বড় ধাক্কা দেন হারিস রউফ। তার বলে কিপার রিজওয়ানের গ্লাভসে ধরা পড়েন ইংলিশ অধিনায়ক জস বাটলার।
শেষ হয় তার ১৬ বলে ২৬ রানের ইনিংস। অন্যপ্রান্তে বেন স্টোকস ধুঁকছিলেন। প্রথম ৫ বলে তার সংগ্রহ মাত্র ১ রান। তিন উইকেট হারিয়ে পাওয়ারপ্লেতে ইংল্যান্ড ৪৫ রান তোলে। হ্যারি ব্রুকের সঙ্গে তার জুটিও জমে উঠলেও রান আসছিল ধীরগতিতে। অবশেষে ৪১ বলে ৩৯ রানের এই জুটি ভাঙে হ্যারি ব্রুকের বিদায়ে। শাদাব খানের শিকার হয়ে ফিরেন ২৩ বলে ২০ রান করা ব্রুক। শেষ ৫ ওভারে দরকার ছিল ৪১ রানের। ১৬তম ওভার করতে এসে ইনজুরিতে মাঠ ছাড়েন শাহিন আফ্রিদি। পাকিস্তান বড় ধাক্কা খায়।

ওভারের বাকি ৫ বল করেন ইফতিখার। ওই ওভারেই চার-ছক্কা মেরে ম্যাচ নিয়ন্ত্রণে নিয়ে নেন বেন স্টোকস। পরের ওভারেও বেদম মার খান ওয়াসিম। ইংল্যান্ডের জয় তখন সময়ের অপেক্ষা মাত্র। ওয়াসিমের কর ১৯তম ওভারের দ্বিতীয় বলে বোল্ড হয়ে যান ১২ বলে ১৯ করা মঈন আলী। ভাঙে ৩৫ বলে ৪৮ রানের পঞ্চম উইকেট জুটি। চতুর্থ বলেই বাউন্ডারি মেরে নিজের ফিফটি পূরণ করেন বোন স্টোকস। দুই দলের স্কোরও সমান হয়ে যায়। শেষ বলে স্টোকসের শটে এক ওভার হাতে রেখেই ৫ উইকেটে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় ইংল্যান্ড। ৪৯ বলে ৫২ রানে অপরাজিত থাকেন স্টোকস।

এর আগে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে  নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেটে ১৩৭ রান তোলে পাকিস্তান। বাবর-রিজওয়ানের ওপেনিং জুটিতে আসে ২৯ রান। ১৪ বলে ১৫ রান করা রিজওয়ানকে স্যাম কারান বোল্ড করলে পঞ্চম ওভারে এই জুটি ভাঙে। পাওয়ারপ্লেতে আসে ৩৯ রান। এরপর মোহাম্মদ হারিসকে বেন স্টোকসের তালুবন্দি করেন আদিল রশিদ। হার্ডহিটার বলে খ্যাত হারিস ১২ বলে ৮ রান করেন। রশিদের দ্বিতীয় শিকার বাবর আজম। ২৮ বলে ৩২ রান করা পাকিস্তান অধিনায়ককে তিনি কট অ্যান্ড বোল্ড করে দেন। ব্যর্থ হয়েছেন ইফতিখারও। ৬ বলে কোনো রান না করেই বেন স্টোকসের বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে ফিরেন।

এরপর শান মাসুদ আর শাদাব খান জুটি গড়ে পাকিস্তানকে এগিয়ে নিতে থাকেন। ১৪.৩ ওভারে তাদের স্কোর তিন অংক ছাড়ায়। এরপর নিয়মিত উইকেট হারাতে থাকে পাকিস্তান। ৩৬ রানের জুটি ভাঙে স্যাম কারেনের বলে ৩৮ রান করা শান মাসুদের বিদায়ে। ক্রিস জর্ডানের বলে ক্রিস ওকসের তালুবন্দি হয়ে থামে শাদাব খানের ১৪ বলে ২০ রানের ইনিংস। এরপর কারেনের তৃতীয় শিকার মোহাম্মদ নওয়াজ (৫)। শেষ ওভারে ওয়াসিমকে (৪) ফেরান জর্ডান। ৮ উইকেটে টেনেটুনে ১৩৭ রান তোলে পাকিস্তান। ১২ রানে ৩ উইকেট নেন স্যাম কারেন। ২টি করে উইকেট নিয়েছেন আদিল রশিদ আর ক্রিস জর্ডান। অল-রাউন্ডার বেন স্টোকস নিয়েছেন একটি।

Notify of
guest
0 মন্তব্য
সবচেয়ে পুরাতন
সবচেয়ে নতুন Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments
Advertisements
সর্বশেষ
- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন