নাসিম রুমি: মূল পর্বের লড়াইয়ে নামার আগে দুটি করে প্রস্তুতি ম্যাচ খেলছে সবগুলো দলই। বাংলাদেশের এই পর্ব শেষ হয়েছে মিশ্র অনুভূতি নিয়ে।
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দারুণ জয়ের পর ইংল্যান্ডের কাছে হারতে হয়েছে। এ ম্যাচে পাওয়া ছিল তানজিদ তামিম ও মেহেদী হাসান মিরাজের ভরসা দেওয়া ব্যাটিং।
সোমবার বিশ্বকাপের দ্বিতীয় প্রস্তুতি ম্যাচে ভারতের গৌহাটিতে বাংলাদশকে ৪ উইকেটে হারিয়েছে ইংল্যান্ড।
বৃষ্টিতে ৩৭ ওভারে নেমে আসা ম্যাচটিতে শুরুতে ব্যাট করে ৯ উইকেট হারিয়ে ১৮৮ রান করে বাংলাদেশ। পরে ৭৭ বল হাতে রেখেই জয় পায় ইংলিশরা।
টস জিতে ব্যাট করতে নেমে আগের ম্যাচে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দুর্দান্ত শুরু করলেও এবার খুব বেশিদূর এগোয়নি ওপেনিং জুটি। রিস টপলির বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেন লিটন দাস। ৬ বলে ৫ রান করে ফেরেন তিনি। টপলির শিকার হয়ে থিতু হতে পারেননি নাজমুল হোসেন শান্তও। ১১ বল খেলে তিনি করেন ২ রান।
তবে আগের ম্যাচের মতোই দারুণ ছন্দে ছিলেন তানজিদ হাসান তামিম। যদিও ফিফটির খুব কাছ থেকেই ফিরতে হয় তাকে। মার্ক উডের বলে বোল্ড হওয়ার আগে ৪৪ বলে ৭ চার ও ১ ছক্কায় ৪৫ রান করেন বাঁহাতি এই ওপেনার।
এরপর উইকেটের একপ্রান্ত আগলে রাখতে শুরু করেন মেহেদী হাসান মিরাজ। কিন্তু অপরপ্রান্তে উইকেট বিলিয়ে দিয়ে আসেন মুশফিকুর রহিম ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। ১৫ বলে ৮ রান কর মুশফিক ও ২১ বলে ১৮ রান করে ফেরেন মাহমুদউল্লাহ। তাদের আউট করেন আদিল রশিদ।
ম্যাচের ৩০ ওভারের পর হানা দেয় বৃষ্টি। তিন ঘণ্টা প্রকৃতির দাপটের পর রাত ৮টায় শুরু হয় খেলা। ৫ উইকেটে ১৫৩ রান থেকে ৩৭ ওভার শেষে বাংলাদেশ থামে ৯ উইকেটে ১৮৮ রানে। সর্বোচ্চ ৭৪ রান আসে মিরাজের ব্যাট থেকে। ৮৯ বলে ১০ চারে ইনিংসটি সাজান তিনি। ইংল্যান্ডের হয়ে রিস টপলি শিকার করেন সর্বোচ্চ তিন উইকেট। এছাড়া দুটি করে উইকেট নেন ডেভিড উইলি ও আদিল রশিদ।
জবাব দিতে নামা ইংল্যান্ডকে শুরুতে ধাক্কা দেয় বাংলাদেশ। মুস্তাফিজুর রহমান প্রথম ওভারের শেষ বলে ২ বলে ৪ রান করা ডেভিড মালানকে ফেরান তানজিদের ক্যাচ বানিয়ে। আরেক ওপেনার জনি বেয়ারস্টোকেও আউট করেন তিনি। ২১ বলে ৩৪ রান করা এই ব্যাটার হন বোল্ড।
মাঝে সহজ সুযোগ হাতছাড়া করেন তাসকিন আহমেদ, একটু কঠিন হলেও ক্যাচ ছাড়েন মুশফিকুর রহিম। পরে হ্যারি ব্রুককে বোল্ড করেন হাসান মাহমুদ। এরপরও ইংল্যান্ডের তেমন বড় জুটি গড়ে উঠেনি। তবে ২ চার ৬ ছক্কায় ৩৯ বলে ৫৬ রান করে ম্যাচ বের করে দেন মঈন আলি। ৪০ বলে ২৬ রান করে শেষ অবধি অপরাজিত থেকে জয় নিশ্চিত করেন জো রুট।
বাংলাদেশের বোলারদের মধ্যে ৩ ওভার করা মোস্তাফিজ ২৩ রান দিয়ে দুটি উইকেট নেন। এছাড়া হাসান মাহমুদ, শরিফুল ইসলাম, তাসকিন আহমেদ ও নাসুম আহমেদ একটি করে উইকেট পান।