টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দলে তাকে নেওয়ায় তুমুল বিতর্ক হয়েছিল। ইংল্যান্ড টেস্ট অধিনায়ক বেন স্টোকসকে ক্রিকেটের সংক্ষিপ্ত ফরম্যাটের বিশ্ব আসরে নেওয়াটা মানতে পারেননি দেশটির সাবেক ক্রিকেটাররা। কেউ কেউ তো বলেছিলেন, স্টোকস এবার ইংল্যান্ডকে ডোবাবে। কিন্তু সেই স্টোকসের ব্যাটই আজকের ফাইনালে ভাসিয়ে তুলল ইংল্যান্ডকে।
অপরাজিত ইনিংস খেলে ২০১৯ সালের পর আবারও ইংল্যান্ডকে বিশ্বকাপ এনে দিলেন এই তারকা অল-রাউন্ডার।
তিন বছরের মধ্যে দুটি বিশ্বকাপ জিতল ইংল্যান্ড। ২০১৯ সালে নিউজিল্যান্ডকে বিতর্কিত আইনে হারিয়ে তারা ওয়ানডে বিশ্বকাপ জিতেছিল। ওই ম্যাচে ২৪২ রান তাড়া করতে নেমে ৭৬ রানে চার উইকেট হারিয়ে ফেলেছিল ইংল্যান্ড। সেখান থেকে হাল ধরেন স্টোকস এবং জস বাটলার। ৯৮ বলে অপরাজিত ৮৪ রানের ইনিংস খেলে স্টোকস দলকে নিয়ে যান জয়ের বন্দরে। স্কোর লেভেল হওয়ার পর সুপার ওভারেও দুই দলের স্কোর সমান ছিল। শেষে বেশি বাউন্ডারি মারার বিতর্কিত আইনে চ্যাম্পিয়ন হয় ইংল্যান্ড।
আজকের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ফাইনালেও বেন স্টোকসের অবদান অনস্বীকার্য। যদিও ম্যাচসেরা এবং সিরিজসেরা হয়েছেন স্যাম কারেন। কিন্তু স্টোকসের ৪৯ বলে ৫ চার ১ ছক্কায় ৫২ রান ইংল্যান্ডের জন্য বিশেষ কিছু। ছোট টার্গেট তাড়ায় নেমে ৪৫ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে ফেলেছিল ইংল্যান্ড। বল হাতে আগুন ঝরাচ্ছিলেন পাকিস্তানের পেসাররা। সেই অবস্থা থেকে দলের হাল ধরে ম্যাচ শেষ করে আসেন স্টোকস। তার হাত থেকেই আসে উইনিং শট। এর আগে বল হাতেও নিয়েছেন ৩২ রানে ১ উইকেট। প্রকৃত অল-রাউন্ডার বুঝি একেই বলে।