নাসিম রুমি: এবারের আইপিএল নিলামে ২৬ কোটি ৭৫ লাখ রুপি দিয়ে শ্রেয়াস আইয়ারকে কিনেছে পাঞ্জাব কিংস। আইপিএলের ইতিহাসে এটিই ছিল সবচেয়ে বেশি দামের রেকর্ড।
কিন্তু রেকর্ডটি টিকলো মাত্র মিনিট ত্রিশেক। পুরো ২৭ কোটি রুপিতে লক্ষ্ণৌ সুপার জায়ান্টসে গিয়ে ঋষভ পন্থ সব রেকর্ড ভেঙে দিলেন।
গত আসরে ২৪ কোটি ৭৫ লাখ রুপিতে কলকাতা নাইট রাইডার্সে যোগ দেন মিচেল স্টার্ক। পরিণত হন আইপিএল ইতিহাসের সবচেয়ে দামি খেলোয়াড়ে।
সেই রেকর্ড আজ নিলামের প্রথম ধাপেই ভেঙে দেন আইয়ার। আইয়ারের নেতৃত্বেই গত আসরে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল কলকাতা নাইট রাইডার্স।
কিন্তু নতুন চক্রের জন্য তাকে ধরে না রাখাটাই শ্রেয় মনে করেছে তারা।
যদিও নিলামে আইয়ারের নাম ওঠার পর প্রথম ডাক তারাই হাঁকিয়েছিল। কিন্তু পাঞ্জাব ছিল নাছোড়বান্দা। মাঝখানে হাল ছেড়ে দিলেও পরে গিয়ে দিল্লির সঙ্গে পাল্লা দিয়ে আইয়ারকে ছিনিয়ে নেয় তারা। কিন্তু তাদের মুখের হাসি কেড়ে নেয় লক্ষ্ণৌ। ২৭ কোটিতে দল পেয়ে পন্থ এখন আইপিএল ইতিহাসে সবচেয়ে দামী ক্রিকেটার।
যদিও ২০ কোটি ৭৫ লাখ রুপি পর্যন্ত ডেকেছিল লক্ষ্ণৌ। আরটিএম (রাইট টু ম্যাচ) কার্ড প্রয়োগ করে এই দামেই চেয়েছিল দিল্লি। কিন্তু লক্ষ্ণৌ বলে দেয় তারা ২৭ কোটি দেবে। এরপর হাল ছেড়ে দেয় দিল্লি।
নিলামের শুরুটা হয় অর্শদীপ সিংকে দিয়ে। বাঁহাতি এই পেসারকে ১৮ কোটি রুপি দিয়ে কিনে নিয়েছে তার পুরোনো ফ্র্যাঞ্চাইজি পাঞ্জাব কিংস। যদিও শুরুতে দর কষাকষিতে ছিল না তারা। ১৫ কোটি ৭৫ লাখ রুপিতে বাঁহাতি এই পেসারকে প্রায় কিনেই নিয়েছিল সানরাইজার্স হায়দরাবাদ।
কিন্তু রাইট টু ম্যাচ কার্ড অপশন প্রয়োগ করে পাঞ্জাব। যেহেতু আগের মৌসুমে অর্শদীপ তাদেরই খেলোয়াড় ছিল। পরে হায়দরাবাদ প্রস্তাব দেয় তারা অর্শদীপের জন্য ১৮ কোটি রুপি দিতে প্রস্তুত। পাঞ্জাব সেই প্রস্তাব ফিরিয়ে নিজেরাই সমান অর্থ দিতে রাজি হয়।
গত আসরে অর্শদীপেরই সতীর্থ ছিলেন কাগিসো রাবাদা। তবে প্রোটিয়া পেসার খুঁজে পেয়েছেন নতুন ঠিকানা। ১০ কোটি ৭৫ লাখ রুপি দিয়ে তাকে ভেড়ায় গুজরাট টাইটান্স। ফ্র্যাঞ্চাইজিটি পরে ১৫ কোটি ৭৫ লাখ রুপি দিয়ে জস বাটলারকেও কিনে নেয়। গত আসরে রেকর্ড গড়া স্টার্ক এবার অর্ধেক দামও পাননি। ১১ কোটি ৭৫ লাখে তাকে নিয়েছে দিল্লি ক্যাপিটালস।