কেএল রাহুল নিজে থেকে দল ছাড়তে চেয়েছেন। এটা আশা করেননি আইপিএল ফ্র্যাঞ্চাইজি পাঞ্জাব কিংস। তাই তাদের সব হিসেব যে গুলিয়ে গেছে। ইচ্ছার বিরুদ্ধে ভারতীয় টি-২০ দলের সহ-অধিনায়ককে ধরে রাখার পক্ষপাতি নন তারা। তাই কেএল রাহুলকে ছেড়ে দিচ্ছে প্রীতির দল। পাশাপাশি আরও একটা সিদ্ধান্ত নিচ্ছে পাঞ্জাব কিংস।
কোনও ক্রিকেটারকেই রিটেন করছে না দলটি। বরং ৯০ কোটি টাকা ঝুলিতে নিয়ে মেগা আইপিএল নিলামে সম্পুর্ণ নতুন দল তৈরির দিকেই নজর দিচ্ছে পাঞ্জাব কিংস। খুব যে ভুল ভাবনা, এটা বলা যাবে না। কেএল রাহুল এবং কিছুটা মায়াঙ্ক অগারওয়াল বাদ দিলে কেউই যে ভরসা দিতে পারেননি গত কয়েক বছরে।
প্রশ্ন কেএল রাহুল যাচ্ছেন কোথায়? বিভিন্ন মহলের খবরকে এক সঙ্গে রাখলে একটা বিষয় স্পষ্ট, আইপিএলের নতুন ফ্র্যাঞ্চাইজি লক্ষ্ণৌ যেতে চলেছেন রাহুল। তাকে অধিনায়ক পদে বসিয়েই দল গড়ার পরিকল্পনা করছে। ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ড নতুন ফ্র্যাঞ্চাইজি গুলির জন্য যে নিয়ম করেছে তারই ফায়দা তুলতে চাইছে লক্ষ্ণৌ।
নিয়ম অনুযায়ী নতুন দুইটি দল নিলামের বাইরে তিনজন ক্রিকেটারকে চুক্তির ভিত্তিতে দলে তুলতে পারবে। পুরানো আট দলের রিটেন করা ক্রিকেটার ও নতুন দুইটি দলের চুক্তির ভিত্তিতে তোলা তিনজন করে ক্রিকেটার বাদ দিয়ে বাকিদের নিয়ে হবে নিলাম প্রক্রিয়া।
দল ছাড়তে চাওয়া আরেক অধিনায়ক যদিও মুক্তি পাননি। রাজস্থান রয়্যালস রাজি করিয়ে ফেলেছে সঞ্জু স্যামসনকে। ১৪ কোটি টাকার চুক্তিতে তাকে অধিনায়ক পদে রেখে দল সাজাচ্ছে তারা। ভারতীয় এই ক্রিকেটারের পাশাপাশি বেন স্টোকস ও জস বাটলার রয়েছে রাজস্থানের ফোকাসে। যদিও ইংল্যান্ডের এই দুই ক্রিকেটারের এখনও সবুজ সংকেত আসেনি বলেই জানা গেছে।
অন্যদিকে কলকাতা নাইট রাইডার্সের সব থেকে বড় চ্যালেঞ্জ অধিনায়ক নির্বাচন। কার্তিক ও মর্গ্যানকে দলে রাখছে না তারা। একটা সূত্র বলছে, নারিন, রাসেল ও ভেঙ্কটেশ আইয়ারকে দলে রাখবে কেকেআর। অন্য সূত্র বলছে, শুভমন, ভেঙ্কটেশকে রাখবে নাইট শিবির। কারণ নারিনের বয়স হয়েছে, রাসেল চোটপ্রবণ। দুইজনকে নিয়েই ভুগতে হয়েছে কিং খানের দলকে। তাই তরুণদের দিকেই বাজি রাখতে পারে কলকাতা নাইট রাইডার্স।