নাসিম রুমি: ‘বিরাট কোহলি ফুরিয়ে গেছেন, তাকে দল থেকে বাদ দিয়ে তরুণদের সুযোগ দেওয়া উচিত’ –এমন কত কথাই তো শোনা গেছে গত কয়েক মাস। কোহলির সময়টা ভালো যাচ্ছিল না। ১০ ইনিংসে মাত্র একটি ফিফটি ছিল। এমন কঠিন সময়কে এবার তুড়ি মেরে উড়িয়ে দিলেন কিং কোহলি। গতকাল রাতে অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে ক্যারিয়ারের ৩০তম সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে জানান দিলেন, তিনি ফুরিয়ে যাননি।
পার্থ টেস্টের প্রথম ইনিংসে দুই দলেরই চরম ব্যাটিং বিপর্যয় হয়েছে। ১৫০ রানে অল-আউট হওয়া ভারতের প্রথম ইনিংসে কোহলির অবদান ছিল মাত্র ৫ রান! দ্বিতীয় ইনিংসেই বদলে যায় দৃশ্যপট। শুরুটা করে দেন যশস্বী জয়সোয়াল এবং লোকেশ রাহুল। এরপর বিরাট কোহলি আসেন মঞ্চে। ৯৪ বলে ফিফটি পূরণের পর ১৪৩ বলে ৮ চার ২ ছক্কায় তুলে নেন ক্যারিয়ারের ৩০তম টেস্ট সেঞ্চুরি। মার্নাস লাবুশানেকে সীমানাছাড়া করে স্পর্শ করেন তিন অংক।
টেস্টে কোহলি সর্বশেষ সেঞ্চুরি করেছিলেন গত বছরের ২০ জুলাই ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষ পোর্ট অব স্পেনে। ২৭২ বলে ১২১ রানের সেই ইনিংসের পর তিনি আর রানই পাচ্ছিলেন না। পরবর্তী ১৬ ইনিংসে ফিফটি মাত্র ২টি! সিঙ্গেল ডিজিটে আউট হয়েছেন ৬ বার। ওয়ানডেতেও সর্বশেষ সেঞ্চুরি করেছিলেন গত বছরের নভেম্বরে অনুষ্ঠিত বিশ্বকাপে ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে। বিরাট কোহলির সঙ্গে এই পরিসংখ্যান মোটেও মানানসই নয়।
কোহলির সেঞ্চুরির পরই ৬ উইকেটে ৪৮৭ রান তুলে দ্বিতীয় ইনিংস ঘোষণা করে ভারত। এতে জয়ের জন্য অস্ট্রেলিয়ার সামনে টার্গেট দাঁড়ায় ৫৩৪ রানের। সেই রানপাহাড় তাড়ায় নেমে ইতোমধ্যেই অভিষিক্ত ওপেনার নাথান ম্যাকসুইনিকে (০) হারিয়েছে অস্ট্রেলিয়া।