নাসিম রুমি: প্রথম চার ম্যাচে জয়ের পর টানা তিন ম্যাচ হার। খুলনা টাইগার্সের জন্য বিপিএলের চট্টগ্রাম-পর্ব ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ। প্রথম ম্যাচেই তারা মুখোমুখি টেবিলের শীর্ষে থাকা রংপুর রাইডার্সের। বোর্ডে বড় রান জড়ো করতে টস জিতে খুলনার বিপক্ষে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিতে দ্বিধা করেননি রংপুর অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহান। ইনিংস শেষে রংপুরের পুঁজি দাঁড়ায় ৫ উইকেটে ২১৯ রান। জবাবে ১৪১ রানে গুটিয়ে যায় খুলনার ইনিংস। গতকাল রাতে রংপুর ম্যাচে জেতে ৭৮ রানের বড় ব্যবধানে।
প্রথম দুই ওভার শেষে রংপুরের রান ছিল ৯। রনি তালুকদার বিদায় নিয়েছেন লিউক উডের বলে, সাকিব আল হাসান ক্রিজে এসে দুটি বল খেলে ফেলেছেন। তৃতীয় ওভার থেকে হাত খোলেন সাকিব। শেষ দুই বলে দুটি ছক্কা হাঁকান সাকিব। পরের ওভারে রিজা হেনড্রিকসকেও ফেরান উড। তবে থেমে থাকেননি সাকিব। ষষ্ঠ ওভারে নাসুমের ৬ বলে ৩ ছক্কা ও ২ চারে ২৬ রান নেন সাকিব। ২০তম বলে চার মেরে ছোঁন বিপিএল অধ্যায়ের ১২তম ফিফটি। যা চলতি বিপিএলে দ্রুততম ও সাকিবের প্রথম ফিফটি।
সাকিবের দেখাদেখি হাত খুলে খেলতে থাকেন শেখ মেহেদিও। ৩১ বলে ৬৯ রানে থাকা অবস্থায় সাকিবকে থামান উড। এই ইনিংসে ৬টি করে চার ও ছক্কা হাঁকান সাকিব। সাকিব ফেরার পর রংপুরের রানের গতি ধরে রাখেন শেখ মেহেদি। ১৬তম ওভারে মেহেদিকে থামান নাসুম। ফেরার আগে ৬ চার ও ৪ ছক্কায় ৩৬ বলে ৬০ রান করেন তিনি। আর শেষ সময়ে রংপুর অধিনায়ক সোহান অপরাজিত থাকেন ১৩ বলে ৩২ রানে। ২টি উইকেটও সাকিব নেন। রংপুরের এই জয়ের পেছনে সাকিব আগ্রনী ভুমিকা পালন করেন এবং ম্যানঅবদ্যা ম্যাচের পুরস্কার লাভ করেন।